সম্প্রতি একটি সৌদি প্রতিনিধিদল ইয়েমেনের ন্যাশনাল স্যালভেশন সরকারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলতে দেশটির রাজধানী সানা সফরে যান।
চলতি বছরের ২৬ মার্চ ইয়েমেনের বিরুদ্ধে সৌদি জোটের যুদ্ধ অষ্টম বছরে পদার্পণ করেছে। গত বছর ইয়েমেনে একটি টেকসই যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার জন্য জাতিসংঘ এবং ওমানের মধ্যস্থতার প্রচেষ্টা বৃদ্ধি পায়। ফলে ২০২২ সালের সালের এপ্রিলে ২ মাসের যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠিত হয় যা দু’বার বাড়ানো হয়েছিল। তবে গত অক্টোবর থেকে যুদ্ধবিরতি বাড়ানো হয়নি।
সানার সরকার ঘোষণা করেছিল যে রিয়াদ যুদ্ধবিরতির কিছু বিধান মেনে চলেনি এবং যুদ্ধবিরতি আসলে মানবিক সংকট কমাতে পারেনি।গত দুই মাসে আবারও ইয়েমেনে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা শুরু হয়েছে। আবারও জাতিসংঘ ও ওমান রিয়াদ ও সানার মধ্যে মধ্যস্থতার চেষ্টা শুরু করেছে। সৌদি কর্মকর্তাদের সানায় সফর জাতিসংঘের শান্তি প্রচেষ্টার সমান্তরালে ওমানের মধ্যস্থতায় সৌদি আরব ও আনসারুল্লাহর মধ্যে যে আলোচনা ও পরামর্শ চলছে তা তার অগ্রগতির ইঙ্গিত করছে।
৭ বছরের উত্তেজনার পর সৌদি আরব ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনে সম্মত হওয়ার পর সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইয়েমেনে যুদ্ধে জড়িত পক্ষগুলোর মধ্যে আলোচনা গতি পেয়েছে। গত ১০ মার্চ বেইজিংয়ের মধ্যস্থতায় ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে চুক্তি ইয়েমেনের সংঘাতের সমাধানের আশাকে শক্তিশালী করেছে।
সৌদি আরবও এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে ইয়েমেনে যুদ্ধ অব্যাহত রাখা তার স্বার্থকে তো রক্ষা করছেই না বরং রিয়াদ এর ফলে দিনদিন আরও ক্ষতির মুখে পড়ছে। তাই সৌদি সরকার এই যুদ্ধের অবসান ঘটাতে আন্তরিক ইচ্ছা পোষণ করছে।
মনে হচ্ছে রিয়াদ এবং সানার মধ্যে চুক্তির ধারা ২০২২ সালের যুদ্ধবিরতি চুক্তির মতোই। ইয়েমেনের ন্যাশনাল স্যালভেশন গভর্নমেন্টের রাজনৈতিক দফতের সদস্য মোহাম্মদ আল-বাখিতি আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সানা ও সৌদি আরবের মধ্যে চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, যে সানা এখনও দুই পক্ষের মধ্যে বোঝাপড়া বাস্তবায়নের জন্য সৌদি আরবের অপেক্ষা করছে।
আল-বাখিতি আরো বলেন, সানা এবং সৌদি আরব যে সমঝোতা পৌঁছেছে তাতে সমস্ত কিছু অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। যেমন বিরোধ ত্যাগ করা বা একটি দীর্ঘস্থায়ী এবং ব্যাপক শান্তিতে পৌঁছানো এবং এটি উভয় পক্ষের স্বার্থ রক্ষা করে এমন কিছু ঐক্যমতে পৌছা। ইয়েমেনের ন্যাশনাল স্যালভেশন সরকারের রাজনৈতিক দফতরের সদস্য আরো উল্লেখ করেছেন যে সমঝোতা এবং সমাধান দুটি পর্যায়ে বাস্তবায়িত হবে একটি ঈদুল ফিতরের আগে এবং অন্যটি অন্য সময়ে।
সূত্র : টাইমস অব ইসরায়েল।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত