ফ্রান্সে সন্দেহজনক ব্যক্তির ওপর ফোনের মাধ্যমে গোপন নজরদারি করতে পারবে পুলিশ। জাস্টিস রিফর্ম বিলের অংশ হিসেবে সম্প্রতি এমনই আইন পাস করেছে ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো সরকার। তবে প্রতিটি নজরদারির ক্ষেত্রেই লাগবে বিচারকের সম্মতি এবং কখনো ৬ মাসের বেশি একটানা নজরদারি চালানো যাবে না।
নতুন এই বিল অনুসারে নির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তিকে যদি পুলিশ অপরাধী হিসেবে সন্দেহ করে তবে ওই ব্যক্তির মোবাইলের পাশাপাশি ল্যাপটপ, গাড়ির সঙ্গে সংযুক্ত বিভিন্ন ডিভাইস ও সন্দেহভাজনের অবস্থানের ওপরেও নজরদারি চালানো যাবে। তারা চাইলে বিশেষ প্রক্রিয়ায় ফোনের ক্যামেরা, স্থান ও শব্দ রেকর্ডের অনুমতি চেয়ে নিতে পারবে। তার পর সন্দেহভাজন ব্যক্তির ছবি থেকে শব্দ সবই রেকর্ড করা যাবে।
যে যে অপরাধে অন্তত পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে, সেই ধরনের অপরাধের অভিযোগের ক্ষেত্রেই এই নজরদারি চালাতে পারবে পুলিশ।
এদিকে গুপ্তচরবৃত্তির এই আইন প্রণয়নের পর বিভিন্ন বাম দল ও মানবাধিকার কর্মীদের তোপের মুখে পড়েছেন আইনপ্রণেতারা। ডিজিটাল অধিকার গ্রুপ ‘লা কোয়াড্রেচার ডু নেট মে’ এক বিবৃতিতে জানায়, এসব আইন ‘মৌলিক স্বাধীনতা লঙ্ঘনের বিষয়ে গুরুতর উদ্বেগ বাড়ায়’।
বিচারবিভাগীয় মন্ত্রী এরিক ডুপন্ড মোরেটি এই বিষয়ে বলতে গিয়ে জানিয়েছেন, ‘এই গোপন নজরদারির আওতায় সারা বছরে সম্ভবত অল্প সংখ্যক মানুষ থাকবেন। তাও বেশ কিছু নিয়ম মানতে হবে পুলিশকে।’ তার দাবি ‘এই বিল দ্বারা মানুষের জীবন রক্ষা করা যাবে।’
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল