চীনের সাথে সম্পর্ক জোরদারের বিষয়ে আবারো তৎপর হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্র। গত মাসেই চীন সফর করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। এরপরই চলতি মাসে বেইজিং সফর করেছেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন।
চারদিনের সফর শেষে জ্যানেট ইয়েলেন জানিয়েছেন, তার এই সফর বেইজিং-ওয়াশিংটন সম্পর্ককে আরো একধাপ সামনের দিকে নিয়ে যাবে। দুই দেশের সম্পর্ক হবে আরো স্থিতিশীল।
নিজের সফরকে সরাসরি, বাস্তব ও কার্যকর বলে আখ্যা দিয়েছেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী। তবে তিনি এও স্বীকার করেছেন যে, এখনো চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বেশ মতানৈক্য রয়েছে। জ্যানেট ইয়েলেন বলেছেন, ‘কারো সফরই আমাদের চ্যালেঞ্জসমূহ রাতারাতি সমাধান করে দিতে পারবে না।’ ‘কিন্তু এই সফর চীনের নতুন অর্থনৈতিক দলের সাথে স্থিতিস্থাপক ও কার্যকর যোগাযোগ চ্যানেল তৈরি করে দেবে।'
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের গ্রাফ ক্রামগত নিচের দিকে নামছে। বিশেষ করে তাইওয়ান ইস্যুতে ওয়াশিংটনের অবস্থানে ক্ষুব্ধ বেইজিং। এছাড়াও হংকং, দক্ষিণ চিন সাগর নিয়েও মতবিরোধ আছে দুই দেশের। সাথে যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে চীনা বেলুন প্রবেশ করায় দুই দেশের বাগযুদ্ধও তুমুল হয়।
জ্যানেট ইয়েলেনের সাথে সাক্ষাতের পর শনিবার চীনের ভাইস প্রধানমন্ত্রী হি লাইফলিং বলেছেন, মার্কিন আকাশে বেলুন প্রবেশের ঘটনায় তিনি অনুতপ্ত।
সূত্র: বিবিসি
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল