হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের মুক্ত করতে হামাসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে রাশিয়া।
ইসরায়েলে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত আনাতোলি ভিক্টোরোভ বলেন, অবশ্যই হামাসের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ রয়েছে এবং প্রথমত তারা জিম্মিদের উদ্ধারের লক্ষ্যে কাজ করছে।
ইসরায়েল বলছে, অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ছিটমহল গাজায় প্রায় ২০০ জিম্মিকে মুক্তি না দিলে অবরোধের কোনো অবসান হবে না।
গত শনিবার ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চল থেকে হামাস বন্দুকধারীরা অন্তত ২০০ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায়। তাদেরকে গাজার বিভিন্ন গোপন জায়গায় রাখা হয়েছে। তাদের মধ্যে নারী, শিশু ও বয়স্করাও রয়েছেন।
কাতার, মিশরসহ আরও কয়েকটি দেশ জিম্মিদের মুক্তির জন্য তৎপরতা চালাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।
শোনা যাচ্ছে, হামাস নারী ও শিশু বন্দীদের মুক্তি দেবে এবং বিনিময়ে ইসরায়েল ৩৬ নারী ও কিশোর বন্দীকে ছেড়ে দেবে।
ইসরায়েলের রেইচম্যান ইউনিভার্সিটির ইনস্টিটিউট ফর পলিসি অ্যান্ড স্ট্রাটেজির সিনিয়র বিশ্লেষক মাইকেল মিলস্টাইন বলছেন যে স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে যে কোন মূল্যে জিম্মি হওয়া ব্যক্তিদের ফেরত পাওয়াই হতো ইসরায়েলের বড় অগ্রাধিকার। কিন্তু এখন তাদের অগ্রাধিকার হলো সামরিক হুমকি হিসেবে হামাসকে নির্মূল করা।
উভয় পক্ষেই উত্তেজনা ও ক্রোধ বাড়ছে। ইসরায়েল ও হামাস-কারও মধ্যেই সমঝোতার আগ্রহ নেই।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল