নিজ বন্দিদের ছাড়িয়ে নিতে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস নেতাদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করেছেন থাইল্যান্ডের কর্মকর্তারা।
থাই প্রতিনিধি দলের কর্মকর্তারা, ইরানে হামাস সদস্যদের সাথে দুই ঘণ্টব্যাপী বৈঠক করেছেন।
থাই প্রতিনিধি দলের প্রধান আরেপেন উত্তরাসিন ব্যাংককে সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গত ২৪ অক্টোবর ইরানের রাজধানী তেহরানে থাই কর্মকর্তারা হামাস নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় হামাস নেতারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, থাই বন্দিদের “সঠিক সময়ে” মুক্তি দেওয়া হবে।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, হামাসের হাতে থাইল্যান্ডের ২২ নাগরিক বন্দি আছেন।
জানা গেছে, থাই পার্লামেন্টের স্পিকার কর্তৃক নিযুক্ত তিন সদস্যের দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন আরেপেন।
আরেপেন বলেন, “আমি তাদের ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করেছি। বলেছি তারা নির্দোষ।”
তিনি আরো বলেন, “তারা (হামাস নেতারা) আমাকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, তারা তাদের ভাল যত্ন নিচ্ছে, কিন্তু তারা আমাকে মুক্তির তারিখ বলতে পারেননি। তারা বলেছেন, তারা সঠিক সময়ের জন্য অপেক্ষা করছেন।”
আরেপেন বলেন, “তারা (হামাস নেতারা) আমাদের উদ্বেগ স্বীকার করেছে। কারণ তারা জানেন- থাইল্যান্ড মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি মহানুভবতা দেখিয়েছে ও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে... তারা থাইল্যান্ডকে সম্মান করে।”
থাই শ্রম মন্ত্রণালয়ের অনুসারে, প্রায় ৩০ হাজার থাই নাগরিক ইসরায়েল কাজ করেন। ৎ তাদের বেশিরভাগই কৃষি খাতে নিয়োজিত।
জানা গেছে, গত ৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধাদের হামলায় ৩২ জন থাই নাগরিক নিহত হয়। আহত হয় আরো ১৯ জন। ওই দিন হামাস যোদ্ধাদের হামলায় ইসরায়েলের অভ্যন্তরে দেড় হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়। এর মধ্যে প্রায় সাড়ে তিনশ’ সেনা বাহিনীর সদস্য। এছাড়াও প্রায়ে আড়াইশ’ জনকে ইসরায়েল ধরে গাজায় নিয়ে যায় হামাস যোদ্ধারা। সূত্র: ব্যারন, টাইমস অব ইসরায়েল
বিডি প্রতিদিন/আজাদ