১০ জানুয়ারি, ২০২৪ ১১:৫২

যুদ্ধের পর ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে আগ্রহী সৌদি আরব: রাষ্ট্রদূত

অনলাইন ডেস্ক

যুদ্ধের পর ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে আগ্রহী সৌদি আরব: রাষ্ট্রদূত

লন্ডনে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত প্রিন্স খালিদ বিন বন্দর। ছবি: সংগৃহীত

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এরই মধ্যে অবরুদ্ধ ওই উপত্যকায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ২৩ হাজার ২১০ জনে দাঁড়িয়েছে।এর মধ্যে ৭০ শতাংশই নারী-শিশু। আহত হয়েছে আরও ৫৯ হাজার ১০০ জন।

ভয়াবহ এই ‘গণহত্যা’ চালানো সত্ত্বেও যুদ্ধের পর ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে আগ্রহী সৌদি আরব। 

ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রিয়াদের এ আগ্রহের কথা জানিয়েছেন লন্ডনে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত প্রিন্স খালিদ বিন বন্দর।

তিনি বলেছেন, “গত বছরের শেষ দিকে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে মার্কিন মধ্যস্থতায় একটি চুক্তির কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল সৌদি আরব। তবে ৭ অক্টোবর গাজা-ভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠনগুলো আল-আকসা তুফান অভিযান চালানোর পর সে প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে যায়।”

প্রিন্স বন্দর বলেন, “গাজায় ‘ব্যাপক মাত্রায়’ হতাহতের ঘটনা সত্ত্বেও সৌদি আরব এখনও মনে করে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।”
এ সময় তিনি আরও বলেন, “গাজা বর্তমানে একটি ‘মানবিক বিপর্যয়ের’ সম্মুখীন। কিন্তু আন্তর্জাতিক সমাজ যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য যথেষ্ট পদক্ষেপ নিচ্ছে না।”

তিনি এও বলেন, ইসরায়েলের সঙ্গে যেকোনও চুক্তির শর্ত হবে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা।

মুসলমানদের দু’টি প্রধান ধর্মীয় স্থান মক্কা ও মদীনা সৌদি আরবে অবস্থিত হওয়ায় দেশটিকে অনেকে আরব ও মুসলিম বিশ্বের নেতা মনে করে। ১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিনি মুসলমানদের ভূমি জবরদখল করে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠা করার পর থেকে এখন পর্যন্ত রিয়াদ আনুষ্ঠানিকভাবে তেল আবিবকে স্বীকৃতি দেয়নি। তবে সৌদি আরব ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিয়ে দিলে তা দখলদার রাষ্ট্রটির জন্য বিশাল অর্জন হিসেবে বিবেচিত হবে। সূত্র: বিবিসি

বিডি প্রতিদিন/আজাদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর