ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদোল্লাহিয়ানসহ বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারের সব আরোহী নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় রাইসির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো।
সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে তিনি শোক প্রকাশ করেন। ইরান ও তাদের দেশের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করে ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, ‘রাইসি ভেনিজুয়েলার একজন ‘নিঃশর্ত বন্ধু’ ছিলেন।’
ভেনিজুয়েলা থেকে আন্তরিক সমবেদনা জানিয়ে নিকোলাস মাদুরো আরও লিখেছেন, ‘আপনি ও ইরান, মর্যাদা, নৈতিকতা ও প্রতিরোধের উদাহরণ।’
দীর্ঘ দিন ধরে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের বৈরী সম্পর্ক চলে আসছে। ইব্রাহিম রাইসি ক্ষমতায় আসার পর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা মোকাবিলায় প্রতিবেশীদের পাশাপাশি চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে বিশেষভাবে মনোযোগ দিয়েছিলেন।
রবিবার ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের জোলফা এলাকার কাছে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনাটি ঘটে। হেলিকপ্টারে ইরানের প্রেসিডেন্ট-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ছিলেন।
এদিকে ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছে হামাস। ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীটি বলেছে, রাইসি ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের মৃত্যুতে ইরানি জনগণের ‘বেদনা ও দুঃখ’ তারাও ভাগ করে নিয়েছে এবং ইরানের প্রতি ‘পূর্ণ সংহতি’ প্রকাশ করছে।
হামাস আরও বলেছে, গাজায় চলমান যুদ্ধ বন্ধের প্রচেষ্টাসহ ফিলিস্তিনি জনগণের সমর্থন এবং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের ক্ষেত্রে ইরানের প্রয়াত কর্মকর্তাদের ‘সম্মানজনক অবস্থানের’ ইতিহাস রয়েছে।
হামাস বলেছে, আমরা আত্মবিশ্বাসী যে, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান এই বিশাল ক্ষতির প্রভাব কাটিয়ে উঠবে। বিবৃতিতে হামাস বলেছে, ভ্রাতৃপ্রতিম ইরানি জনগণের এমন প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা এই গুরুতর সংকট মোকাবিলা করতে পারে। সূত্র : আল জাজিরা
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল