আমেরিকার আদালতে ‘প্রমাণসহ অভিযোগপত্র’ (ইনডিক্টমেন্ট) জমা পড়েছে বৃহস্পতিবার। ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে গৌতম আদানি এবং তার ভাতিজা সাগরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির খবরও প্রকাশিত হয়েছে আমেরিকার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে। তার জেরে ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠ’ শিল্পপতি এবং তার সহযোগীদের ‘ভবিষ্যৎ’ নিয়ে তৈরি হয়েছে নানা জল্পনা।
এই পরিস্থিতিতে অ্যাটর্নি জেনারেল ব্রেয়ন পিস আদালতে অভিযুক্তদের গ্রেফতারির জন্য সক্রিয় হতে পারেন বলে আইনজীবীদের একাংশের ধারণা। আমেরিকার ভারতীয় বংশোদ্ভূত আইনজীবী রবি বাত্রা সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, ‘‘অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকরে সক্রিয় হতে পারেন অ্যাটর্নি জেনারেল ব্রেয়ন।’’ মার্কিন আইন অনুযায়ী ভারতীয় নাগরিক গৌতম, সাগরদের গ্রেফতারি পরোয়ানা কার্যকরের দায়িত্ব ‘বিদেশ বিষয়ক আইন প্রয়োগকারী সংস্থা’র। তাদের দায়িত্ব হস্তান্তরের ভার অ্যাটর্নি জেনারেলের।
আমেরিকার কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ইতোমধ্যেই সেই দায়িত্ব দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছে নিউইয়র্কের ইস্টার্ন ডিসট্রিক্ট আদালতের সরকারি কৌঁসুলিরা। সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে আদানির প্রত্যর্পণের জন্য মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের দ্বারস্থ হতে পারে ‘বিদেশ বিষয়ক আইন প্রয়োগকারী সংস্থা’।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার আমেরিকার শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসইসি (সিকিউরিটিজ় অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন) এবং ন্যায়বিচার দফতর গৌতম, তার ভাতিজা সাগর এবং তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে, তারা ২৬.৫ কোটি ডলার বা (প্রায় ২২৩৭ কোটি রুপি) ঘুষ দিয়ে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বাজারের থেকে বেশি দামে সৌরবিদ্যুৎ বেচার বরাত আদায় করেছিলেন। আদানিদের এর থেকে ২০ বছর ধরে ২০০ কোটি ডলার (প্রায় ১৬ হাজার ৯০০ কোটি টাকা) মুনাফা করার পরিকল্পনা ছিল।
ঘুষ দিয়ে কাজ আদায়ের তথ্য গোপন রেখে এই প্রকল্পের জন্য আদানি গ্রিন সংস্থা ঋণপত্রের (বন্ড) মাধ্যমে লগ্নিকারীদের থেকে ৭৫ কোটি ডলার (প্রায় ৬৩৩৮ কোটি রুপি) ঘরে তুলেছিল। এরমধ্যে আমেরিকার লগ্নিকারীদের থেকে ১৭ কোটি ৫০ লক্ষ ডলার তোলা হয়েছিল। তারা যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগী সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে সে দেশের লগ্নিকারীদের থেকে টাকা তুলছিলেন। অন্য দিকে, সেই টাকায় ঘুষ দিচ্ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল