নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে ফ্রান্সের বিভিন্ন শহরে হাজারো মানুষ রাজপথে নেমে এসেছে। শনিবারের এই বিক্ষোভ আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবসের দুই দিন আগে অনুষ্ঠিত হলো।
খবর অনুসারে, রাজধানী প্যারিসে নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে এবং তাদের প্রজনন অধিকার রক্ষায় মানুষদের হাতে ছিল বেগুনি রঙের প্ল্যাকার্ড। অংশগ্রহণকারীরা নারীর অধিকারের সম্ভাব্য ক্ষতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। ট্রাম্প প্রশাসন পুনরায় ক্ষমতায় আসার প্রেক্ষাপটে নারীর অধিকার সঙ্কুচিত হতে পারে বলে তারা শঙ্কা প্রকাশ করেন।
ফরাসি সংবাদপত্র ল্য মঁদ জানিয়েছে, প্যারিসে প্রায় ৮০ হাজার মানুষ বিক্ষোভে অংশ নেয়। পাশাপাশি, লিয়নের নিকটবর্তী রেনে শহরসহ ফ্রান্সের অন্যান্য ছোট শহরগুলোতেও হাজারো মানুষ বিক্ষোভ করে।
২০২৪ সালের মার্চে ফ্রান্স গর্ভপাতের অধিকারকে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করে। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ২০২২ সালে গর্ভপাত সংক্রান্ত জাতীয় সুরক্ষা প্রত্যাহারের প্রতিক্রিয়ায় করা হয়। ফ্রান্স ১৯৭৫ সাল থেকে গর্ভপাতকে বৈধ ঘোষণা করলেও সংবিধানে অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে এই অধিকার সুরক্ষার নতুন মাত্রা যোগ করেছে। ফ্রান্স বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে গর্ভপাতের অধিকার সংবিধানে সুরক্ষিত করে।
এ বিক্ষোভ ফ্রান্সের সমাজে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে এবং নারীর অধিকারের পক্ষে জনগণের দৃঢ় অবস্থান তুলে ধরেছে। এটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নারীর অধিকারের প্রসারে একটি শক্তিশালী বার্তা।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল