৩ জুনের আগাম নির্বাচনের জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার রক্ষণশীল দল তাদের সাবেক শ্রম মন্ত্রী কিম মুন-সুকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে। তিনি সামরিক আইন ঘোষণার কারণে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের স্থলাভিষিক্ত হবেন।
শনিবার দক্ষিণ কোরিয়ার রক্ষণশীল দলের পক্ষে থেকে কিম মুন-সু’র নাম ঘোষণা করা হয়।
ইউনের বেসামরিক শাসন স্থগিত করার প্রচেষ্টা ঠেকাতে ব্যর্থ হওয়ার এবং তার অভিশংসনের বিরোধিতা করার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে অস্বীকৃতি জানানো। এছাড়াও একমাত্র মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে জনসাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণ করার পর কিম মুন-সু পিপল পাওয়ার পার্টির মনোনয়ন পেয়েছেন।
সাবেক ছাত্র শ্রমিক কর্মী থেকে রক্ষণশীল হয়ে ওঠা এই প্রার্থী ৫৬ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট পেয়ে সাবেক দলীয় প্রধান হান ডং-হুনকে পরাজিত করে মনোনয়ন নিশ্চিত করেছেন, যা দলের সদস্যদের ভোট এবং জনমত জরিপের মিশ্রণের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছিল।
৭৩ বছর বয়সী কিম মুন-সু তার গ্রহণযোগ্যতার ভাষণে বলেছেন, ‘হতাশা এবং ক্ষোভের মধ্যে দিয়ে আমরা আজ এখানে জড়ো হয়েছি। অসংখ্য নাগরিকের আর্তনাদ সত্ত্বেও আমাদের প্রেসিডেন্ট (ইউন) অভিশংসিত হয়েছেন।’
তিনি বলেছেন, আর যাই হোক না কেন, ‘আমার শরীর যদি টুকরো টুকরো হয়ে যায়, তবুও আমি জিতব।’
প্রাথমিক নির্বাচনটি ছিল কিমের মধ্যে সংঘর্ষ, যিনি ইউনের অভিশংসনের বিরোধিতা করেছিলেন, এবং যিনি ইউনের সাবেক মিত্র ছিলেন, যিনি তার নিজের দলের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হওয়া সত্ত্বেও প্রেসিডেন্টের অভিশংসনকে সমর্থন করেছিলেন।
ইউনের সামরিক আইন জারি মাত্র ছয় ঘণ্টা স্থায়ী হওয়ার পর বিদ্রোহী আইন প্রণেতারা সংসদের বেড়া ভেঙে অধিবেশন আহ্বান করে ভোটাভুটি বাতিল করে দেন।
সাবেক প্রেসিডেন্টের এই পদক্ষেপকে অসাংবিধানিক বলে ব্যাপকভাবে নিন্দা জানানো হয়েছে এবং এর ফলে জাতীয় পরিষদ তাকে অভিশংসন করে। পরবর্তীতে সাংবিধানিক আদালত তাকে পদ থেকে অপসারণ করে।
কিন্তু শনিবার কিম বিরোধী-নিয়ন্ত্রিত সংসদের সমালোচনা করে অভিযোগ করেন, এটি ‘জনগণের ভোটে নির্বাচিত একজন প্রেসিডেন্টকে অন্যায়ভাবে অভিশংসন’ করেছে।
সূত্র : এপি।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত