অবৈধ অভিবাসীরা স্বেচ্ছায় নিজ দেশে ফেরার পরই নগদ এক হাজার ডলার প্রদানের পাশাপাশি বিমান-টিকিটের অর্থও পরিশোধের অঙ্গীকার করলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রী ক্রিস্টি নয়েম। সোমবার ৫ মে প্রদত্ত এক ঘোষণায় এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়েছে যে, গ্রেফতার এবং ডিটেনশন সেন্টারের ভীতি থেকে মুক্ত থাকতে এবং স্বাভাবিক একজন নাগরিকের ন্যায় নিজ দেশে ফেরার ঐতিহাসিক এই সুযোগ পাওয়া যাবে এই (DHS.gov/CBPhome) ওয়েবসাইট থেকে। ঘোষণায় আরো উল্লেখ করা হয়েছে যে, যারা এই সুযোগ নেবেন পরবর্তীতে অন্য কোন প্রোগ্রামে আবারো তাদের যুক্তরাষ্ট্রে আসার পথ খোলা থাকবে। হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রী ঐ বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন, আপনি যদি এখানে অবৈধভাবে থেকে থাকো, স্বেচ্ছায় বহিষ্কারটি হবে সবচেয়ে উত্তম, নিরাপদ, গ্রেফতারের ভয় নেই এমন চিত্তে যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি পন্থা (“If you are here illegally, self-deportation is the best, safest and most cost-effective way to leave the United States to avoid arrest,” Secretary of Homeland Security Kristi Noem said in the statement. “DHS is now offering illegal aliens financial travel assistance and a stipend to return to their home country through the CBP Home App.”)।
অভিনব এই কর্মসূচি বাস্তবায়িত হলে ফেডারেল সরকারের ব্যয় কমবে মাথাপিছু ৭০% কম। বিরাজমান প্রক্রিয়ায় গ্রেফতারের পর বিমানে উঠিয়ে দেয়া পর্যন্ত ডিটেনশন সেন্টারে থাকা-খাওয়া বাবদ মাথাপিছু ব্যয় হচ্ছে গড়ে ১৭১২১ ডলার করে। উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট বাইডেন আমলে ‘সিবিপি ওয়ান’ নামক মোবাইল অ্যাপটির প্রচলন করা হয় বেআইনীভাবে সীমান্ত অতিক্রমকারিদের এসাইলামের আবেদন সাবমিটের পূর্ববর্তী প্রক্রিয়া সম্পন্নের জন্যে। সেটিকে গত মার্চে ট্রাম্প প্রশাসন ‘সিবিপি হোম’ অ্যাপ-এ পরিবর্তন ঘটিয়েছে-যার মাধ্যমে অবৈধ অভিবাসীরা স্বেচ্ছায় যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করতে পারছে। যদিও এই অ্যাপ ব্যবহারে এতদিন কোন আগ্রহ পরিলক্ষিত হয়নি। তবে বিনামূল্যে টিকিট এবং সাথে নগদ এক হাজার ডলারের পুরস্কার ঘোষণার সংবাদটি অনেককে আকৃষ্ট করতে পারে বলে বলাবলি করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, দ্বিতীয় মেয়াদের জন্যে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণের দিন থেকেই ডোনাল্ড ট্রাম্প অবৈধ অভিবাসী গ্রেফতার ও বহিষ্কারের বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। তবে প্রত্যাশিত সংখ্যায় গ্রেফতার কিংবা বহিষ্কারে সক্ষম হননি ট্রাম্প-প্রশাসন। সেজন্যেই এমন অফার দেয়া হলো বলে অনেকের ধারণা। আরো উল্লেখ্য, ২৫ ফ্রেব্রুয়ারি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ৫ মিলিয়ন ডলার ফি-তে বিদেশীকে গ্রীনকার্ড প্রদানের অভিনব একটি কর্মসূচি ঘোষণা করলেও এখন পর্যন্ত আশানুরূপ সাড়া মেলেনি। নানাবিধ কারণে যুক্তরাষ্ট্রে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় কেউই আর যুক্তরাষ্ট্রকে নিরাপদ বোধ করছেন না বলে অভিজ্ঞজনেরা মন্তব্য করছেন।