২০৪৫ সালের মধ্যে বিল গেটস ফাউন্ডেশনের সেবামূলক কর্মকাণ্ড বন্ধের সিদ্ধান্ত জানালেন বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে আর্ত-মানবতার সেবারত সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা ধনকুবের বিল গেটস। ২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ছিল ৮ মে এবং সেদিনই মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস নিজের ব্লগে লিখেছেন যে, আগামী ২০ বছরের মধ্যে নিজের সম্পদের মোট ৯৯% তথা প্রায় ২০০ বিলিয়ন ডলার দাতব্য সংস্থাটির মাধ্যমে দান করবেন এবং এভাবেই গেটস ফাউন্ডেশনের বিলুপ্তি ঘটবে। ৬৯ বছর বয়েসী বিল গেটসের প্রত্যাশা পরলোকগমনের সময়ে তিনি ধনকুবের হিসেবে থাকতে চান না। অর্জিত সমস্ত অর্থ বিলিয়ে যেতে চান। বিশ্বব্যাপী মানুষের জীবন বাঁচাতে ও তাদের জীবনমানের আরো উন্নতি ঘটাতে তার পুরো সম্পদই ব্যয় করবেন। ২৫ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থার মাধ্যমে এ যাবত প্রায় ১০০ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছেন।
উল্লেখ্য, শুরু থেকেই বিশ্বব্যাপী দরিদ্র জনগোষ্ঠির স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ নিশ্চিত বিশেষ করে মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা, প্রাণঘাতি রোগ সংক্রমণ রোধে অপরিসীম অবদান রেখে আসছে গেটস ফাউন্ডেশন। এ যাবত ৮২ মিলিয়ন তথা ৮ কোটি ২০ লক্ষাধিক মানুষকে টিকাদান, চিকিৎসাসেবা দেয়া ও স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ নানাবিধ সেবা দিয়েছে এই সংস্থা। বিল গেটসের দানকৃত অর্থ বিশ্বব্যাপী দরিদ্র জনগোষ্ঠির জন্য সেবার এ পরিধি আরো বিস্তৃত করবে বলে অনেকের ধারণা।
২০২২ সালেই গেটস ফাউন্ডেশনের বিলুপ্তির কথা বলেছিলেন বিল গেটস। ৩ বছর পর ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে তিনি নিজের অর্জিত অর্থের পুরোটাই আর্ত-মানবতার সেবায় ব্যয়ের কথাও জানালেন ফাউন্ডেশনের সমাপ্তির নয়া সীমারেখা ঘোষণার মধ্যদিয়ে। এক্ষেত্রে খ্যাতনামা দানশীল অ্যান্ড্রোর কার্নেগির কাছ থেকে উদ্দীপনা পাবার কথাও জানান বিল গেটস।