শান্তি আলোচনায় ইউক্রেন সাড়া দেয়নি বলে জানিয়েছে রাশিয়া।
বৃহস্পতিবার ক্রেমলিন জানিয়েছে, আগামী সোমবার ইস্তাম্বুলে শান্তি আলোচনায় অংশগ্রহণের বিষয়ে ইউক্রেন রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সাড়া দেয়নি।
ইউক্রেন শান্তি আলোচনায় অংশগ্রহণ করবে কি-না, তা জানার জন্য তারা অপেক্ষায় আছে বলেও জানিয়েছে রুশ কর্তৃপক্ষ।
অপরদিকে আলোচনায় বসার আগে মস্কোকে শান্তি চুক্তি নিয়ে তাদের শর্তাবলী পাঠানোর দাবি জানিয়েছে কিয়েভ।
তিন বছরের সংঘাতের অবসানে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা কিছুটা গতি পেয়েছে। তবে মস্কো সাময়িক যুদ্ধবিরতির আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে ইউক্রেনের ওপর একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
মস্কো ইউক্রেনকে ২ জুন ইস্তাম্বুলে দ্বিতীয় দফায় সরাসরি আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছে। সেখানে তারা দীর্ঘ মেয়াদি শান্তির শর্তাবলীর রূপরেখা দিয়ে একটি ‘স্মারকলিপি’ উপস্থাপন করতে চায়।
এদিকে ইউক্রেন বলেছে, আলোচনায় বসার আগে স্মারকলিপির একটি অনুলিপি তাদের দিতে হবে। অন্যথায় তারা আলোচনায় বসবে না। তবে ক্রেমলিন তাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, আমি যতদূর জানি, এখনও সাড়া মেলেনি। আমাদের ইউক্রেনীয় প্রতিপক্ষের সম্মতির জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
রাশিয়ার শান্তির শর্তাবলী আগেই পাঠাতে কিয়েভের দাবিকে ‘গঠনমূলক নয়’ বলে অভিহিত করেন তিনি।
ইউক্রেন জানিয়েছে, তারা ইতোমধ্যে রাশিয়ার কাছে তাদের শান্তির শর্তাবলী জমা দিয়েছে এবং মস্কোকেও তাদের শর্তাবলী জানাতে বলেছে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান রাশিয়া ও ইউক্রেনকে ইস্তাম্বুলে প্রত্যাশিত বৈঠকের আগে সংলাপের ‘দরজা বন্ধ’ না করার আহ্বান জানিয়েছেন।
এর আগে গত ১৬ মে ইস্তাম্বুলে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিদল প্রথমবারের মতো সরাসরি আলোচনায় বসে। সেই আলোচনায় তেমন কোনও অগ্রগতি হয়নি। তবে উভয় পক্ষ এক হাজার করে বন্দী বিনিময়ে সম্মত হয়, যা সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে তাদের সবচেয়ে বড় যুদ্ধ বন্দী বিনিময়। সূত্র: আল-জাজিরা
বিডি প্রতিদিন/একেএ