ভারতের উত্তর সিকিমের আবহাওয়ার কিছুটা উন্নতি হওয়ায় সেখানে আটকে পড়া পর্যটকদের উদ্ধারের কাজ শুরু হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে লাচুং-এ আটকে থাকা পর্যটকদের নামিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হলেও, লাচেন থেকে পর্যটকদের উদ্ধার করা এখনও বেশ চ্যালেঞ্জিং বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
টানা কয়েক দিনের ভারি বৃষ্টিতে উত্তর সিকিম বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। বিভিন্ন স্থানে ভূমিধস নেমে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এতে প্রায় দেড় হাজার পর্যটক উত্তর সিকিমের বিভিন্ন এলাকায় আটকা পড়েছিলেন।
সোমবার সকালে লাচুং থেকে আটকে পড়া পর্যটকদের নামিয়ে আনার কাজ শুরু হয়েছে। তবে প্রশাসনিক সূত্র জানিয়েছে, লাচেন থেকে পর্যটকদের উদ্ধার করা সহজ নয় এবং এতে আরও কিছুটা সময় লাগতে পারে। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার অভিযানে বারবার বিঘ্ন ঘটছে।
অন্যদিকে, সিকিমের ছাতেনে একটি সেনা ক্যাম্পে ভূমিধস নেমেছিল রবিবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ। এই ঘটনায় তিনজন জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে এবং ছয়জন জওয়ান নিখোঁজ রয়েছেন।
আটকে পড়া পর্যটকদের উদ্ধার করতে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং সেনাবাহিনী তৎপর রয়েছে। প্রশাসনও উপদ্রুত এলাকা থেকে পর্যটকদের সরিয়ে আনতে বিকল্প পথ ও উপায় খুঁজছে। লাচুং হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরাও পর্যটকদের উদ্ধারে প্রশাসনের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। আবহাওয়ার উন্নতি হতেই স্থানীয় লাচুংপা সম্প্রদায়ের মানুষজন, যাদের অনেকে হোটেলের মালিক, তারা আটকে থাকা পর্যটকদের ব্যাগ গাড়িতে তুলে সহায়তা করছেন।
সোমবার সকালে অনেক জায়গায় রোদের দেখা মেলায় উদ্ধারকাজ দ্রুত শুরু করা গেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত ১৮টি গাড়িতে ১০০ জনেরও বেশি পর্যটককে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
উত্তর সিকিমের অনেক এলাকায় এখনও বিদ্যুতের সমস্যা রয়েছে এবং চুংথাং-এ পানীয় জলের সমস্যা দেখা দিয়েছে। সিকিম সরকার আটকে পড়া পর্যটকদের হোটেল ও হোমস্টেতে থাকার নির্দেশ দিয়েছে। মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে তিস্তার জলস্তরও বৃদ্ধি পেয়েছে, যা উদ্ধার অভিযানের কাজকে আরও কঠিন করে তুলেছে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল