ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার উত্তরের জাবালিয়া এলাকায় রাস্তার পাশে পেতে রাখা বোমার বিস্ফোরণে আরও তিন ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও দুইজন।
মঙ্গলবার সকালে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর (আইডিএফ) বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল।
আইডিএফ এক বিবৃতিতে জানায়, সোমবার (২ জুন) সন্ধ্যায় উত্তর গাজার জাবালিয়া এলাকায় অভিযান চলাকালে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সেনারা একটি সামরিক বহরের অংশ হিসেবে সেখানে অবস্থান করছিল। হঠাৎ একটি শক্তিশালী বিস্ফোরণে ‘হামভি’ যানটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে তিনজন সেনা নিহত হন এবং আরও দুইজন আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
নিহতরা হলেন কমব্যাট মেডিক স্টাফ সার্জেন্ট লিওর স্টেইনবার্গ (২০), কমব্যাট মেডিক স্টাফ সার্জেন্ট ওফেক বারহানা (২০) ও স্কোয়াড কমান্ডার স্টাফ সার্জেন্ট ওমর ভ্যান গেলডার (২২)।
তারা সবাই গিভাতি ব্রিগেডের রোটেম ব্যাটালিয়নের সদস্য ছিলেন এবং অভিযানের সময় ৯ম আর্মার্ড ব্যাটালিয়নের একটি প্লাটুনের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
আইডিএফ জানিয়েছে, ওই পাঁচ সেনা একটি ‘হামভি’ সামরিক যানযোগে অগ্নিনির্বাপক ইউনিটকে এসকর্ট করছিল। গাজায় প্রবেশের পর একটি সাঁজোয়া যান কারিগরি সমস্যার কারণে আগুন ধরে যাওয়ায় সেটি নেভাতে যাওয়া হচ্ছিল। ফেরার পথে রাস্তার পাশে পেতে রাখা শক্তিশালী বিস্ফোরক ডিভাইস হামভি গাড়িটিকে লক্ষ্য করে বিস্ফোরিত হয়। ঘটনাস্থলেই তিন সেনা প্রাণ হারান।
গাজায় চলতি বছরের মার্চে যুদ্ধবিরতির ব্যর্থতার পর ফের শুরু হওয়া অভিযানে এটিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর জন্য অন্যতম বড় ক্ষতি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
আইডিএফ-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় লড়াই শুরুর পর এখন পর্যন্ত সাড়ে ৮০০-র বেশি ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে। তবে সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোশে ইয়ালন দাবি করেছিলেন, বাস্তব ক্ষয়ক্ষতি আরও অনেক বেশি—তাঁর মতে, ২০২৩ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনীর ১৫ হাজারের বেশি সেনা হতাহত হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/মুসা
