ভারী বৃষ্টির কারণে ভারতের জম্মুর বেশ কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে অনেক বাড়িতে। ভেঙে পড়েছে বাড়ি সংলগ্ন দেয়ালও। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, অন্তত আধ ডজন গাড়ি বন্যার পানিতে ভেসে গেছে।
রাতভর টানা বর্ষণের জেরে বিপর্যস্ত জম্মু ও কাশ্মীরের বিস্তীর্ণ এলাকা। প্লাবিত নদীগুলো। ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট, বাড়িঘর। ধস নেমেছে দিকে দিকে। অনেক জেলার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত। কাঠুয়া জেলার জম্মু-পঠানকোট জাতীয় মহাসড়কের একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু।
কাঠুয়ার স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, জম্মু-পঠানকোট জাতীয় মহাসড়কের উপর দু’টি সেতু রয়েছে। প্রায় প্রতি দিন ওই দুই সেতুর উপর দিয়ে বহু গাড়ি যাতায়াত করে। কিন্তু শনিবার সারা রাতের বৃষ্টিতে একটি সেতু মাঝখান থেকে ধসে গিয়েছে। অন্য সেতুটির অবস্থাও সঙ্গীন। এর ফলে ওই দুই সেতুতে যান চলাচল আপাতত বন্ধ। বিকল্প পথে ওই এলাকায় যান চলাচল করছে।
কাঠুয়ার ডেপুটি পুলিশ কমিশনার রাজেশ শর্মার কথায়, পুরনো সেতুটির অবস্থা খুবই খারাপ। নতুন সেতুটির অবস্থা নিয়েও সংশয় রয়েছে। তাই আপাতত সতকর্তামূলক ব্যবস্থা হিসাবে দু’টি সেতু বন্ধ রাখা হয়েছে। খবর দেওয়া হয়েছে হাইওয়ে কর্তৃপক্ষকে। তাদের ইঞ্জিনিয়ারেরা এসে পরীক্ষা করে দেখার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আবহাওয়া ভবনের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় জম্মুতে ১৯০.৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে, যা গত ১০০ বছরের মধ্যে অগস্টে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত।
জানা গিয়েছে, ভারী বৃষ্টির কারণে জম্মুর বেশ কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বন্যার জল ঢুকে পড়েছে অনেক বাড়িতে। ভেঙে পড়েছে বাড়ি সংলগ্ন দেওয়ালও। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রের খবর, অন্তত আধ ডজন গাড়ি বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। তবে এখনই দুর্যোগের হাত থেকে রেহাই নেই। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আগামী ২৭ অগস্ট পর্যন্ত মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। টানা বৃষ্টির কারণে ভূমিধসের আশঙ্কা। সেই কারণে বেশ কিছু এলাকা থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসন।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল