দলের প্রশিক্ষণ শিবিরে মাত্র ২ মিনিট দেরিতে পৌঁছান রাহুল গান্ধী। আর তার শাস্তি হিসেবে সবার সামনে দশটি পুশ-আপ করতে হয়েছে ভারতের লোকসভায় বিরোধী দলনেতাকে।
রবিবার মধ্যপ্রদেশের পাচমাড়িতে জেলা সভাপতিদের প্রশিক্ষণ শিবিরে তাকে এ শাস্তি দেওয়া হয়। দলীয় সূত্র অনুসারে, কংগ্রেসের ওই শিবিরে কঠোর শৃঙ্খলা বজায় রাখা হয়েছিল। শিবিরে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সময়ানুবর্তিতা সম্পর্কে উৎসাহিত করার জন্য এই প্রতীকী শাস্তির ব্যবস্থা।
এই মুহূর্তে বিহারে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারণায় ব্যস্ত রয়েছেন রাহুল গান্ধী। স্বাভাবিক কারণেই মধ্যপ্রদেশের পাচমাড়িতে ওই প্রশিক্ষণ শিবিরে পৌঁছাতে একটু দেরি হয় তার।
রবিবার সন্ধ্যায় দেরিতে পৌঁছালে এআইসিসি প্রশিক্ষণ বিভাগের প্রধান শচীন রাও মজার ছলে উপস্থিতদের মনে করিয়ে দেন, দেরিতে আসা ব্যক্তিদের 'শাস্তি' দেওয়া হবে।
রাহুল গান্ধী যখন জিজ্ঞাসা করেন শাস্তির বিধান কী, জবাবে রাও বলেন, দশটি 'পুশ-আপ' বাধ্যতামূলক। লোকসভার বিরোধীদল নেতা তৎক্ষণাৎ তা মেনে নেন। রাহুলের পরনে ছিল ট্রাউজার ও সাদা টি-শার্ট। ওই অবস্থায় নিজের আসন গ্রহণের আগে সবার সামনেই দশটি 'পুশ-আপ' করেন।
রাহুলের এমন কর্মকাণ্ডের পর করতালিতে অভিনন্দন জানান অংশগ্রহণকারীরা। পরে রাহুল গান্ধী নতুন জেলা সভাপতিদের উদ্দেশে ভাষণ দেন। সাংগঠনিক লক্ষ্য ও প্রশিক্ষণ কৌশল নিয়ে আলোচনা করেন।
এসময় রাহুল অভিযোগ করে বলেন, 'কয়েকদিন আগে, আমি হরিয়ানা মডেল উপস্থাপন করেছিলাম, যেখানে ২৫ লাখ ভোট চুরি হয়েছিল, প্রতি ৮ জনের মধ্যে ১টা ভোট চুরি হয়। এটাই তাদের সিস্টেম। প্রধান বিষয় হলো ভোট চুরি'। রাহুলের দাবি, তার দলের কাছে এ সম্পর্কিত সব প্রমাণ রয়েছে।
পুশ-আপ শাস্তির বিষয়টি নিয়ে মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসের মিডিয়া সমন্বয়কারী অভিনব বারোলিয়া জানান, 'সংগঠন সৃজন অভিযান' (এসএসএ) এর অধীনে এই শিবিরে দেরিতে পৌঁছালে অংশগ্রহণকারীদের জন্য নির্ধারিত 'দশটি পুশ-আপ শাস্তির নিয়ম' আছে। রাহুল গান্ধীও এ নিয়ম মেনে চলেন। প্রশিক্ষণ শিবিরে আমরা কঠোরভাবে শৃঙ্খলা অনুসরণ করি। দলে গণতন্ত্র রয়েছে, যেখানে সকল সদস্য সমান।
বিডি-প্রতিদিন/এমই