হাজার হাজার প্রতিবাদী মানুষ। তবে তারা সবাই অনেক সচেতন। বিশ্বের যে জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটছে তা নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন। জলবায়ু পরিবর্তনে উদ্বিগ্ন জনতার ঢল নেমেছিল নিউইয়র্কের রাজপথে। রবিবার সকাল থেকে সেখানে মানুষ জড়ো হতে থাকেন। দুপুর গড়াতেই তা বেড়ে লাখ তিনেকে গিয়ে ঠেকে। এসব মানুষ বিশ্বকে বাসযোগ্য রাখার আহ্বান জানান।
জন জলবায়ু পদযাত্রার (পিপলস ক্লাইমেট মার্চ) আয়োজকদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে এর আগে এমন জনসমাবেশ আর কখনো হয়নি। এই পদযাত্রায় অংশ নেন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন, সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট আল গোর, নিউইয়র্কের মেয়র, ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এমনকি হলিউডের বিখ্যাত অভিনেতা লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও। এ ছাড়া মার্কিন কংগ্রেসের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য, রাজনীতিবিদ, পরিবেশবিদ, শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মানুষের উপস্থিতিতে পদযাত্রাটি বর্ণাঢ্য হয়ে ওঠে। সেখানে অংশগ্রহণকারীদের হাতে বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুন, প্লাকার্ড ছিল। বাদ্যযন্ত্রের তাল, নাচ আর স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত ছিল পুরো নগর। পাঁচ কিলোমিটারের মতো দীর্ঘ শোভাযাত্রায় তিলোত্তমা নিউইয়র্ক কার্যত অচল হয়ে পড়ে। লাখো জনতার কণ্ঠে উচ্চারিত হয়, 'জলবায়ুর বিপর্যয় ঠেকাতে বিলম্বের কোনো অবকাশ নেই।'
পরিবেশবিদরা বলেন, সময় দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। এখনই পদক্ষেপ না নিলে পৃথিবীটা আমাদের সন্তানদের জন্য আর বাসযোগ্য থাকবে না।
পদযাত্রায় তেল, গ্যাস ও জ্বালানি কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়া হয়। সমাবেশ থেকে জানানো হয়, উন্নত বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে অনাচার-অবিচারে মেতে উঠেছে। আজ মঙ্গলবার নিউইয়র্কের জাতিসংঘ সদর দফতরে বিশ্বনেতারা জলবায়ু সমস্যা নিয়ে বসবেন। জাতিসংঘ সদর দফতর থেকে জানানো হয়েছে, ১২৫টি দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিরা এ সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এতে যোগ দিচ্ছেন। মার্কিন সম্মেলন থেকে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাসহ বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রপ্রধানরা জলবায়ুর পরিবর্তন ঠেকাতে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের ঘোষণা দেবেন। উদ্বোধনী দিন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি জলবায়ু সম্মেলনের সূচনা বক্তব্য দেবেন। এএফপি, নিউইয়র্ক টাইমস।