দলীয় প্রার্থী, ইলেকশন এজেন্ট ও জেলা সভাপতিদের নিয়ে বৈঠকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেছেন, এবার আমরা ২০০টিরও বেশি সিট পাব। ভোটের প্রকৃত ফলাফল নিশ্চিত করতে দলের কেউ ভোট গণনা কেন্দ্র ছাড়বেন না। ফল ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত সবাইকে সেখানে থাকতে হবে। সূত্র : বর্তমান, আজকাল। গতকাল অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে তিনি উপস্থিত সবাইকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আপনারাই জিতবেন। বিজেপি সকাল বেলা রটাতে পারে, ওরা জিতছে। কখনই কাউন্টিং সেন্টার ছাড়বেন না। শেষ পর্যন্ত থাকবেন। ভোর ৫টার মধ্যে পেঁৗঁছে যাবেন গণনা কেন্দ্রে। অন্য কারও কাছ থেকে খাবার খাবেন না। ড্রাই ফুড খাবেন। যেমন- কেক, বিস্কুট, ক্রিম রোল, রুটি আর আলু ভাজা। সময় লাগলেও ধৈর্য হারাবেন না।’
ভোটের ফলাফল প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘৬৫টির মতো সিটে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার সিটগুলো নিয়ে বিজেপির কিছু প্ল্যান আছে। তাই এক ইঞ্চিও জমি ছাড়া চলবে না।’ তিনি বলেন, ‘মানুষের ভালোবাসা আপনারা পেয়েছেন। কালকের দিনটি হলো শেষ লড়াইয়ের দিন। বিহারে যা করেছিল এখানেও তা ওরা করতে পারে। যারা মাটি কামড়ে কাজ করবে তাদের পার্টি পুরস্কৃত করবে। এতদিন নিজেদের জীবন বিপন্ন করে আপনারা কাজ করেছেন। দলের বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন। তাই বাংলার ফল কী হবে তার দিকে গোটা দেশ তথা পৃথিবী তাকিয়ে রয়েছে। কোনো ভুল হলে মানুষ কিন্তু ক্ষমা করবে না। মনে রাখবেন, প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসে বসেছিল। কিন্তু অধিকাংশ এক্সিট পোল বলেছে, আমরা আসছি।
২০০টিরও বেশি সিট পাব। চিন্তার কোনো কারণ নেই। বিজেপি টাকা দিলে কাউন্টিং সেন্টার ছেড়ে দেব- এটা যেন না হয়।’বৈঠকে মমতার পাশাপাশি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘১৭ সি ফর্মের সঙ্গে ইভিএম ও ভিভিপ্যাট মিলিয়ে দেখবেন। একটা ওয়ার রুম খোলা হচ্ছে। সেখানে টেলিফোন নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন। নম্বরটি হলো ৯০০৩০০৩০০১। আপনাদের ফোন ধরার জন্য কর্মীরা প্রস্তুত থাকবেন। কোনো সমস্যা হলেই এই নম্বরে জানাবেন। এটাই কাউন্টিং হেল্প নম্বর। কোনো মেশিন যেন সিল ভাঙা না থাকে। ভালো করে সেদিকে নজর রাখবেন। যদি বাথরুমে যাওয়ার প্রয়োজন হয়, তবে রিলিভারকে বসিয়ে তবেই যাবেন। সবাইকে গণনার প্রশিক্ষণ দিতে হবে।’