শনিবার, ১৯ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘সংলাপ বা সংঘাতের’ জন্য কিমের প্রস্তুতি

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘সংলাপ বা সংঘাতের’ জন্য কিমের প্রস্তুতি

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন বলেছেন, তাঁর দেশকে আমেরিকার সঙ্গে ‘সংলাপ ও সংঘাত’ দুটোর জন্যই প্রস্তুত হতে হবে, বিশেষ করে ‘সংঘাতের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুতি থাকতে হবে’। এই প্রথম মি. কিম আমেরিকান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন সম্পর্কে সরাসরি কোনো মন্তব্য করলেন। এর আগে আমেরিকান সরকার উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা করলে উত্তর কোরিয়া তা নস্যাৎ করে দিয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়াকে তার পারমাণবিক অস্ত্র সরিয়ে ফেলার আহ্বান জানিয়েছে। কিন্তু পিয়ংইয়ং বারবার সেই আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ পূর্ব এশিয়ার এই দেশটির পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা চালানোর কারণে তার ওপর কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, বৃহস্পতিবার নিজ দল ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সঙ্গে ওই বৈঠকে বাইডেন প্রশাসনের উত্তর কোরিয়া নীতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা এবং নিজের পর্যবেক্ষণ জানান কিম। বৈঠকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নুতন প্রশাসনের সঙ্গে কাজের ‘উপযুক্ত কৌশল এবং কৌশলগত প্রতিরোধের’ বিস্তারিত পরিকল্পনার কথাও জানান।

বৈঠকে কিম বলেন, ‘আমাদের দেশের সম্মানের সুরক্ষার্থে এবং স্বাধীনভাবে নিজেদের উন্নয়নের স্বার্থে, একই সঙ্গে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ এবং উত্তর কোরিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের বিশেষ করে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত থাকা প্রয়োজন।’

‘উত্তর কোরিয়া যে কোনো তৎপরতার বিরুদ্ধে তীব্র এবং তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেখাবে এবং কোরীয় উপদ্বীপের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সর্বোচ্চ মনোযোগ দেবে।’ উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক বরাবরই উত্তেজনায় ঠাসা। পরমাণু অস্ত্র তৈরিসহ নানা বিষয়ে বিরোধের জেরে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞার বেড়াজালে আটকে দেশটির অর্থনীতি ধসিয়ে দিয়েছে। পিয়ংইয়ংয়ে এ সপ্তাহে শুরু হওয়া বৈঠকে কিম তার দেশ খাদ্য সংকটে পড়ার কথা স্বীকার করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে কিমের সঙ্গে তাঁর কথার লড়াই একদিকে যেমন যুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল, তেমনি দুই নেতা উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে আলোচনার জন্য সিঙ্গাপুর এবং ভিয়েতনামে ঐতিহাসিক বৈঠক করেছিলেন। যদিও ওই দুই বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে কোনো অগ্রগতি হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসনের সঙ্গেও শুরুতেই উত্তর কোরিয়ার সম্পর্কের উত্তেজনার আঁচ পাওয়া গেছে।

সর্বশেষ খবর