বুধবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

রুশ বাহিনীর দখলে এখন পূর্ব ইউক্রেনের অনেক এলাকা

পূর্ব ইউক্রেনে দনবাস অঞ্চলে তীব্র যুদ্ধের পর সোলেদার নামে একটি শহরের অধিকাংশেরই নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে রাশিয়া। বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, এক মাস ধরেই এ শহরটির নিয়ন্ত্রণের জন্য লড়াই চলছিল, তবে গত চার দিনে রুশ বাহিনী ও তাদের সমর্থক ওয়াগনার গোষ্ঠীর যোদ্ধারা নতুন নতুন জায়গা দখল করেছে। এ শহরটি লবণখনির জন্য বিখ্যাত। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সোলেদারে ধ্বংসযজ্ঞের বর্ণনা দিয়ে বলেছেন, ‘একটি দেওয়ালও অক্ষত নেই, শহরটি প্রাণশূন্য।’ তিনি আরও দাবি করেন, ‘সোলেদারের কাছাকাছি এলাকা দখলদার সেনাদের লাশে ছেয়ে গেছে। উন্মাদনা হয়তো একেই বলে।’ ইউক্রেন যুদ্ধপূর্ব সময়ে সোলেদারের মোট জনসংখ্যা ছিল প্রায় ১০ হাজার। রুশ বাহিনী এ শহরটিকে দখলে নেওয়ার জন্য বাখমুতকে গুরুত্বপূর্ণ স্থান মনে করছে। তবে এর কৌশলগত গুরুত্ব কতটা তা নিয়ে নিশ্চিত নন পশ্চিমা বিশেষজ্ঞরা। সম্প্রতি রুশ বাহিনী কয়েকটি লড়াইয়ে বিপাকে পড়ার পর সোলেদারের এ বিজয় হবে তাদের জন্য একটি ভালো খবর। বাখমুতে তীব্র যুদ্ধ চলছে এবং রুশ ও ইউক্রেনীয় উভয় বাহিনীরই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বলা হচ্ছে, ১১ মাস আগে রাশিয়া ইউক্রেনে অভিযান চালানোর পর অন্যতম তীব্র ‘পরিখা যুদ্ধ’ হচ্ছে এখানে। ব্রিটিশ গোয়েন্দা ব্রিফিংয়ে বলা হচ্ছে, সোলেদার দখলের মধ্য দিয়ে রাশিয়া সম্ভবত উত্তর দিক থেকে বাখমুতকে ঘিরে ফেলা এবং ইউক্রেনীয় যোগাযোগের পথগুলো বিঘিœত করার চেষ্টা করছে।

রক্তক্ষয়ী ও দীর্ঘ যুদ্ধ চললেও ইউক্রেনের একজন সামরিক বিশ্লেষক ওলেহ ঝাদানভ মনে করেন, সোলেদার বা বাখমুত কোনোটাই সামরিক কার্যক্রম পরিচালনার দিক থেকে বিশেষ কোনো গুরুত্বের নয়।

ওয়াশিংটন-ভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ারের মতে, প্রিগোঝিন ‘সোলেদার ও বাখমুতে তার ওয়াগনার গ্রুপের বাস্তব ও কাল্পনিক সাফল্যকে প্রচার করে এটাই দেখাতে চাইবেন যে, ইউক্রেনে ওয়াগনারই একমাত্র রুশ বাহিনী যারা সুস্পষ্ট সাফল্য অর্জনে সক্ষম’। অর্থাৎ, প্রিগোঝিন এ কৌশলে রাশিয়ায় তার রাজনৈতিক প্রভাবকে আরও শক্তিশালী করতে চাইছেন।    

ইউক্রেনের অন্য অঞ্চলগুলোতে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী যুদ্ধ করলেও বাখমুত, সোলেদারের মতো কয়েকটি শহর দখলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ওয়াগনারকে।

সর্বশেষ খবর