সোমবার, ৬ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

ঐতিহাসিক সমুদ্র চুক্তিতে পৌঁছাল বিশ্ব

ঐতিহাসিক সমুদ্র চুক্তিতে পৌঁছাল বিশ্ব

১০ বছরের আলোচনার পর মহাসাগরগুলোকে রক্ষার জন্য ঐতিহাসিক চুক্তিতে পৌঁছেছে বিশ্ব। চুক্তি   অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে সমুদ্রের ৩০ শতাংশ এলাকাকে সুরক্ষিত ঘোষণা করা হবে। এই চুক্তিকে বলা হচ্ছে ‘হাই সি’স ট্রিটি’।

টানা দেড় দিন বা ৩৮ ঘণ্টা আলোচনার পর শনিবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দফতরে চুক্তিটির ব্যাপারে সবার সম্মতি মেলে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

তহবিল ও মাছ ধরার অধিকার নিয়ে মতানৈক্যের কারণে চুক্তির আলোচনা এতদিন ধরে ঝুলে ছিল। সমুদ্র সুরক্ষার সর্বশেষ  আন্তর্জাতিক চুক্তিটি ৪০ বছর আগের। ১৯৮২ সালে স্বাক্ষরিত হয়েছিল সমুদ্রের আইন সম্পর্কিত জাতিসংঘের কনভেনশন। ওই চুক্তিটির নাম ছিল ‘ইউএন কনভেনশন অন দ্য ল অব দ্য সি।’ এই চুক্তিতে উচ্চ সমুদ্র ধারণাকে প্রতিষ্ঠিত করলেও, তার মাত্র এক দশমিক ২ শতাংশ সুরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে।

‘হাই সি’ হচ্ছে আন্তর্জাতিক জলসীমা, যেখানে সব দেশের মাছ ধরার, জাহাজ চালানো ও গবেষণার অধিকার রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন, অত্যধিক মাছ ধরা ও জাহাজ চলাচলের কারণে সংরক্ষিত এলাকার বাইরে থাকা সামুদ্রিক উদ্ভিদ ও প্রাণি ভয়াবহ ঝুঁকির মধ্যে থাকে। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন) জানিয়েছে, তাদের সর্বশেষ পর্যালোচনায় দেখা গেছে প্রায় ১০ শতাংশ বিলুপ্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। সূত্র : বিবিসি

নতুন চুক্তিতে সমুদ্রের যেসব এলাকা সংরক্ষিত হিসেবে বিবেচিত হবে সেখানে মাছ ধরা, নৌযান চলাচলের রুট এবং খনন কাজের সীমা, ভূপৃষ্ঠ থেকে ২০০ মিটার বা তার নিচের সমুদ্র তলদেশ থেকে কখন খনিজ পদার্থ নেওয়া যাবে, তা ঠিক করে দেওয়া হবে।

সমুদ্রে খনন কাজ সেখানকার প্রাণীদের প্রজননে ব্যাঘাত, শব্দ দূষণ সৃষ্টি এবং সামুদ্রিক জীবনকে বিষিয়ে তুলতে পারে জানিয়ে পরিবেশবাদী গোষ্ঠীগুলো দীর্ঘদিন ধরেই সমুদ্রে খনন প্রক্রিয়া নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে আসছিল। চুক্তিটি আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদনে সদস্য দেশগুলোকে ফের বসতে হবে; কার্যকর হওয়ার আগে চুক্তিটি নিয়ে এখনো অনেক কাজ বাকি বলেও জানিয়েছে বিবিসি।

এ ব্যাপারে পিউস ট্রাস্ট ওশান গভর্নেন্স টিমের পরিচালক লিজ কারান জানান, ‘চুক্তিটি কার্যকর হতে এখনো বেশ খানিকটা সময় লাগবে। বলবৎ হওয়ার আগে দেশগুলোকে চুক্তিটিতে অনুসমর্থন দিতে হবে। এরপর বিজ্ঞান ও কারিগরি কমিটির মতো অনেকগুলো প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো ঠিক করতে হবে।’

সর্বশেষ খবর