১৩ ডিসেম্বর, ২০১৯ ২০:০০

তুরাগ তীরে চলছে ইজতেমার প্রস্তুতি, স্বেচ্ছায় কাজ করছেন মুসল্লিরা

আফজাল, টঙ্গী:

তুরাগ তীরে চলছে ইজতেমার প্রস্তুতি, স্বেচ্ছায় কাজ করছেন মুসল্লিরা

রাজধানীর সন্নিকটে টঙ্গীর কহর দরিয়া খ্যাত তুরাগ নদের তীরে এগিছে চলছে ২০২০ সালের বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি। এ উপলক্ষে স্বেচ্ছায় কাজ করছে মুসল্লিরা। প্রতিদিন সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত বিভিন্ন জেলার মুসল্লিরা ময়দান প্রস্তুত কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। 

আগত মুসল্লিরা ময়দানে মাটিকাটা, ময়লা আবর্জনা পরিস্কার, খুটি স্থাপন, সামিয়ানা তৈরি, চট বাধাইসহ বিভিন্ন কাজ করছে। 

গাজীপুর কালিয়াকৈর এলাকা থেকে স্বেচ্চায় কাজ করতে আসা মুসল্লি সানোয়ার ও মনির হোসেন বলেন, ফজরের নামাজ শেষে ইজতেমা ময়দানে এসে সবাই স্বেচ্চায় কাজ করছি, আখেরাতে কিছু ছোয়াব পাওয়ার জন্য কাজ করছি। 

ঢাকা মগবাজার এলাকা থেকে আসা মাদ্রাসা ছাত্র সয়াইফ হোসেন ও হাসান বলেন, আল্লাহকে রাজি-খুশি করার জন্য আল্লাহর রাস্তায় মেহনত করছি। 

আগামী ১০ জানুয়ারি শুক্রবার শুরু হবে ৫৫তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। ১২ জানুয়ারী রবিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে তা শেষ হবে। এরপর ৪দিন বিরতি দিয়ে দ্বিতীয় পর্ব ১৭ জানুয়ারি শুরু হয়ে ১৯ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে দ্বিতীয় পর্ব। 

গতবারের মতো এবারও প্রথম পর্বে মাওলানা জোবায়ের পন্থী মুসল্লিরা টঙ্গী ময়দানে ইজতেমার আয়োজন করবে। এরপর মাঝে চারদিন বিরতি দিয়ে দ্বিতীয় পর্বে মাওলানা সা’দ অনুসারীরা ইজতেমার আয়োজন করবে। 

এ বিষয়ে র‌্যাব-১এর কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, গতবারের মতো এবারও মুসল্লিদের নিরাপত্তায় র‌্যাবের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে গাজীপুর জিএমপি কার্যালয়ে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সভা হয়েছে। 

মাওলানা জোবায়ের অনুসারী ময়দানের মুরব্বি ডা. কাজী সাহাবুদ্দিন বলেন, বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে ময়দানের সকল কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। ইতোমধ্যে ওলামা মাশায়েক আলমীসুরার বিদেশী মেহমান সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, রাশিয়ারসহ বিভিন্ন দেশের মুসল্লিরা ময়দানের আশপাশে অবস্থান নিয়ে দিনের কাজ করছেন। তবে ইজতেমা সফল করতে গাজীপুর সিটি মেয়র জাহঙ্গীর আলম ও স্থানীয় এমপি যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল সক্রিয় ভূমিকায় রয়েছে। 

গাজীপুর সিটি মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এবারও বিশ্ব ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের সেবায় সিটি কর্পোরেশন এর পক্ষ থেকে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ময়দানে বালি ফেলা, ময়লা আবর্জনা পরিস্কারসহ বিভিন্ন কাজে করছে সিটি কর্পোরেশন। ইজতেমা চলাকালীন সময়ে সিটির সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী মুসল্লিদের সেবা প্রদানে ২৪ ঘণ্টা নিয়োজিত থাকবে। এ ব্যাপারে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, গতবারের মতো এবারও জোবায়ের ও সা’দ অনুসারীরা দুই পর্বে ইজতেমায় অংশগ্রহণ করবে। আগত মুসল্লিদের সেবায় সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা থাকবে। 
 

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

সর্বশেষ খবর