বাংলাদেশের মাটিতে একের পর এক সংখ্যালঘু হিন্দুদের হত্যা বন্ধ না হলে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে চলাচলকারী মৈত্রী এক্সপ্রেস বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিল ভারতীয় জনতা পার্টি। সেই সঙ্গে দুই দেশের মধ্যে বৃহত্তম স্থলবন্দর পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্তে ধরনার দেওয়া হবে বলেও জানিয়ে দিল ভারতের এই রাজনৈতিক দলটি। পাশাপাশি হিন্দুদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছে তারা।
দলটির পশ্চিমবঙ্গ শাখার সভাপতি ও এমএলএ দিলীপ ঘোষ শুক্রবার জানান, ‘হিন্দুসহ অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষরা বাংলাদেশে প্রতিদিন খুন হচ্ছে। সেদেশের সরকারের উচিত সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার বিষয়টি সুনিশ্চিত করা। কারণ বাংলাদেশের স্বাধীনতায় ভারত একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক আছে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার যদি এই খুন খারাপি থামাতে না পারে তবে পেট্রাপোল-বেনাপোল স্থলবন্দরের সামনে আমরা ধরনায় বসবো এবং দরকার হলে দুই দেশের মধ্যে চলাচলকারী মৈত্রী এক্সপ্রেস বন্ধ করে দেওয়া হবে। বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার এই ঘটনা আমরা কোনভাবেই মেনে নেবো না’।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি আরও বলেন, ‘আমরা দেখে আসছি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইস্যু নিয়ে বামপন্থীরা পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে আন্দোলন করে অথচ বাংলাদেশে যখন হিন্দুরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে তখন এই বামপন্থী কিংবা তৃণমূল কংগ্রেসকে পথে দেখা যাচ্ছে না, তারা নীরবতা পালন করছে’।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনায় এদিন কলকাতার রাজপথে বিজেপি’র তরফে একটি মিছিলও বের করা হয়। দলের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহাও এই ইস্যুতে রাজ্যের বিদ্বজনেদের নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার সকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে ঝিনাইদহে মন্দিরের সেবায়েত শ্যামানন্দ দাস ওরফে বাবাজি (৬২)-কে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। তবে শুধু এবারই নয় গত কয়েক বছর ধরেই দেশব্যাপী পুরোহিত, যাজক, ভিক্ষু, শিক্ষক, ইমাম-মুয়াজ্জিন সহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ধর্মীয় গুরুদের এর আগেও হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এর মধ্যে বেশ কয়েটি হত্যাকাণ্ডের পর মধ্যপ্রাচ্যের জঙ্গি সংগঠন আইএস এই হত্যার দায় স্বীকার করেছিল। যদিও বাংলাদেশ সরকারের তরফে আইএস সক্রিয়তার কোন প্রমাণ মেলেনি বলে দাবি করা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/ ০২ জুলাই, ২০১৬/ আফরোজ