ঘোড়া কিংবা কোন বিদেশি সংস্থার দামী গাড়ি নয়, রাস্তার রোলারে (রাস্তা সমানকারী যন্ত্র) চড়ে বিয়ে করতে এসে কনে পক্ষের বাড়ির অতিথিদের একেবারে তাক লাগিয়ে দিল পাত্র। চিরাচরিত প্রথা ছেড়ে এভাবে ধুতি-পাঞ্জাবি, গলায় মালা পড়ে বিয়ে করতে আসার ঘটনায় রীতিমতো সোরগোল পড়ে গেছে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরের উকিলপাড়ায়।
রবিবার সন্ধ্যায় উকিলপাড়ায় পাত্রী অরুন্ধতী তরফদারের বাড়িতে বসেছিল বিয়ের আসর। কনের বাড়ির লোকেরা তখন অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন বরের জন্য। এমন সময়ে সকলকে অবাক করে দিয়ে এসে থামলো হলুদ রঙের একটি রোড রোলার। গাড়ি থেকে এসে নামলেন বর অর্ক পাত্র (৩০)।
স্বর্ণ ব্যবসায়ীর পুত্র অর্ক জানান ‘আমি আমার বিয়েটা স্বরণীয় করে রাখতে চেয়েছিলাম। আমি ভিনটেজ কার ভাড়া করে আসতে পারতাম কিন্তু তাতে কোন নতুনত্ব থাকতো না। আমি এও শুনেছি যে আকাশে গিয়েও অনেকে বিয়ে করেছেন। কিন্তু রোড রোলারে করে বিয়ে করতে এসেছেন-এমনটা শুনিনি। তাই এই সিদ্ধান্ত।’
অর্ক জানিয়েছেন তার এই অভিনব সিদ্ধান্তে সম্মতি ছিল স্ত্রী অরুন্ধতী তরফদারেরও। বিয়ের কয়েকদিন আগেই হবু স্ত্রীর সাথে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অর্ক।
তবে বর রোড রোলারে চেপে বিয়ে করতে আসলেও বরযাত্রীরা এসেছিলেন হলুদ-লাল রঙের মিনিবাসে চেপে। তবে বিয়েই নয়, বৌভাতের নিজের বাড়ির অনুষ্ঠানের দিনেও পরিবেশবান্ধব কিছু করে ফের তাক লাগাতে চাইছেন অর্ক।
অর্ক জানায় ‘রিসেপশনের দিন কোন লাউডস্পীকার বাজানো হবে না। তার পরিবর্তে একজন বাঁশিওয়ালাকে রাখা হবে। তিনিই অনুষ্ঠান মঞ্চের চারিদিকে ঘুরে ঘুরে বাঁশি বাজিয়ে অতিথিদের মনোরঞ্জনের ব্যবস্থা করবেন।’
বিডি প্রতিদিন/হিমেল