ভারতে লোকসভার নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, বাংলায় রাজনীতির পারদও তত চড়ছে। ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেস ও বিরোধী বিজেপির মধ্যে একে অপরকে লক্ষ্য করে তোপ-পাল্টা তোপ বাড়ছে। মঙ্গলবার রাজ্যটির কাঁথিতে এক জনসভা থেকে আগামী নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল সরকারকে উৎখাতের ডাক দিয়েছিলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, বেকারত্ব বৃদ্ধি, খুনের রাজনীতির অভিযোগ তুলে বলেছিলেন নির্বাচনের গণনা শেষেই তৃণমূল সাফ হয়ে যাবে। শাহ’এর সমাবেশের চব্বিশ ঘণ্টা পার না হতেই এবার বিজেপিকে পাল্টা তোপ দাগলেন মমতা। সরকারি অনুষ্ঠান থেকেই বিজেপিকে অর্ধশিক্ষিত, গর্ধশিক্ষিত, বেহায়ার দল বলে গালমন্দ করলেন মমতা।
বুধবার বীরভূম জেলার রামপুরহাটে সরকারি অনুষ্ঠান থেকে বিজেপিকে নিশানা করে তিনি বলেন ‘আমি ভেবে পাই না, বিজেপির দিল্লির কিছু নেতা আছেন যারা অর্ধ শিক্ষিত, গর্ধশিক্ষিত আছেন-তারা বাংলার সংস্কৃতি, কৃষ্টি সভ্যতা জানে না। এদের কেউ কেউ বলছেন কন্যাশ্রী প্রকল্প নাকি অনুকরণ করেছি। আমি তাদের চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলছি যে ‘আমাদের প্রকল্প শুরু হয় ২০১৩ সালে, আর আপনাদের ‘বেটি বাঁচাও প্রকল্প’ শুরু হয় ২০১৫ সালে। তাই আপনারাই আমাদের টুকলি করেছেন।’
মমতার শাসনকালে রাজ্যে দুর্গাপূজা, স্বরস্বতী পূজা করতে দেওয়া হয় না বলে অমিত শাহ যে অভিযোগ তুলেছিলেন সেই পরিপ্রেক্ষিতে মমতা জানান ‘আপনারাই বলুন আপনাদের রাজ্যে দুর্গাপূজা, স্বরস্বতী, কালীপূজা হয় কি হয় না? ঈদের নামাজ আদায় করা হয় কি না? জোরে বলুন যাতে অর্ধশিক্ষিতদের কানে যায়। হরিদাস, ক্রীতদাস, বন্ডেড নেতারা দাঙ্গাবাজি করে ও গুন্ডাবাজি করে ক্ষমতায় এসেছে। ওরা বলছে বাংলায় নাকি পূজা করতে দেওয়া হয় না, পূজা করতে গেলে নাকি পাকিস্তানে যেতে হবে। ওদের লজ্জা করে না, বেহায়ার দল। এরা বাংলার সংস্কৃতি জানেই না। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি-হয় প্রমাণ করবেন, তা নাহলে আপনারা রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। আর আমি প্রমাণ করতে না পারলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেবো।’
মমতার অভিমত ‘বাংলার মাটি অন্য মাটি। বাংলার মাটি পথ দেখায়, আগামী দিনেও পথ দেখাবে। বাংলা মাথা নত করে না। বাংলা নিজেকে বিকিয়ে দেয় না। বাংলাকে চমকে-ধমকে, সিবিআই দেখিয়ে লাভ নেই। আমরা লড়ে নেবো।’