৮ মে, ২০১৯ ১৬:২৪

মোদিকে ‘চোর’ সম্বোধন করে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হলেন রাহুল

দীপক দেবনাথ, কলকাতা

মোদিকে ‘চোর’ সম্বোধন করে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হলেন রাহুল

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে উদ্দেশে করে ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ বলায় সুপ্রিম কোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে বাধ্য হলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। এই বিতর্কে এর আগে তিনি সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে নিজের বক্তব্য জানিয়ে ছিলেন। 

সেখানে তিনি নিজেকে ‘অনুতপ্ত’ বলে দাবি করেন, তবে ক্ষমা চাননি। যা নিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। এরপরই শীর্ষ আদালতে নতুন করে হলফনামা দিয়ে ক্ষমা চান রাহুল। 

উল্লেখ্য, ফ্রান্সের সাথে রাফায়েল যুদ্ধবিমান ক্রয় চুক্তির পরই মোদিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিলেন রাহুল। বিভিন্ন জনসভা, সংবাদ সম্মেলন থেকে এমনকি চলমান লোকসভা নির্বাচনী প্রচারণা থেকেও মোদিকে চোর বলে সম্বোধন করেছিলেন রাহুল। মোদির নাম না নিয়েই ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ বলে স্লোগান তুলেছিলেন। যা নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক তৈরি হয়। যদিও রাফায়েল ইস্যুতে দুর্নীতির অভিযোগ খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। 

এরই মধ্যে রাফায়েলের নথি চুরি হয়ে গিয়েছে বলে আদালতকে জানায় কেন্দ্রীয় সরকার। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে চুরি যাওয়া রাফালের নথি মামলায় গ্রহণযোগ্য হবে বলে জানায় শীর্ষ আদালত। 

ওই রায়কে হাতিয়ার করেই মোদিকে নিশানা করতে গিয়ে রাহুল বলেন শীর্ষ আদালতের রায়েই বলেছে ‘চৌকিদার চোর’। 

প্রকাশ্য জনসভা থেকেই তিনি দাবি করেন যে শীর্ষ আদালতও মেনে নিয়েছে যে ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ এরপরই রাহুলের বিরুদ্ধে মামলা করেন বিজেপি নেত্রী মীনাক্ষি লেখি। তার অভিমত নিজের রাজনৈতিক বক্তব্য সুপ্রিম কোর্টের ওপর দিয়ে চালিয়ে দিয়েছেন রাহুল। এটা সুপ্রিম কোর্টের অবমাননার সামিল। 

এরপর গত ৩০ এপ্রিল আদালতে নিজের মন্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করলেও ক্ষমা চাননি রাহুল গান্ধী। কিন্তু বিজেপি নেত্রী মীনাক্ষি লেখি সুপ্রিম কোর্টে রাহুলের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অবমাননার মামলা করে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার আর্জি জানান। 

শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ এবং বিচারপতি এস.কে.কাউল এবং কে.এম.জোশেফ-এর বেঞ্চ রাহুলকে ক্ষমা চেয়ে নতুন করে হলফনামা জমা দিতে বলে। এরপরই তিন পাতার হলফনামায় রাহুল জানান ভুল করে দলের 
স্লোগানকে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের সাথে জুড়ে দিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টকে সর্বোচ্চ সম্মান ও শ্রদ্ধা করে তিনি আদালতের বিচার প্রক্রিয়ার মধ্যে কখনও হস্তক্ষেপ করেননি। নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে ওই মামলাটি বন্ধ করারও আর্জি জানান কংগ্রেস সভাপতি। 


বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর