ভারতের লোকসভা নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ের পর রাতারাতি মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বধীন তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়কসহ অর্ধ শতাধিক কাউন্সিলরদের দলে টেনে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ফেলে দিয়েছিল বিজেপি। তবে তৃণমূলের দাবি, প্রাণনাশের ভয় দেখিয়ে তাদের দলে টানা হয়েছে। তাছাড়া তাদের বেশির ভাগ তৃণমূলের নয় বলেও দাবি করেছেন রাজ্যের শাসক দলটি।
এনডিটিভির দাবি, পশ্চিমবঙ্গের শাসক দলের দাবি একজন সাসপেন্ড হওয়া বিধায়ক এবং ৬ জন কাউন্সিলর দল ত্যাগ করেছেন। বাকি যারা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তারা হয় সিপিএমের, নয় কংগ্রেসের সদস্য। তৃণমূলের আরও দাবি প্রাণনাশের ভয় দেখিয়ে নিজেদের দলে যোগদান করিয়েছে বিজেপি।
তৃণমূলের পক্ষ থেকে টুইট করে বলা হয়- একজন সাসপেন্ড হওয়া বিধায়ক এবং ৬ জন কাউন্সিলর দল ত্যাগ করেছেন। বাকি যারা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তারা হয় সিপিএমে, নয় কংগ্রেসের সদস্য। .
দল বদল ঘিরে নতুন করে রাজ্য রাজনীতি সরগরম। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির সাফল্যর পর তৃণমূল এবং অন্য দল ছেড়ে নেতারা বিজেপিতে যোগ দেবেন বলে মনে করা হচ্ছে। মুকুল রায়ের পুত্র শুভ্রাংশু রায় থেকে শুরু করে মোট তিনজন বিধায়ক এবং ৬০ জনের মতো কাউন্সিলর মঙ্গলবার দিল্লি গিয়ে বিজেপিতে নাম লেখান। এরপর হালিশহর থেকে শুরু করে কাঁচড়াপাড়া ভাটপাড়া এবং নৈহাটি পুরসভা তাদের দখলে এসেছে বলে বিজেপি দাবি করে।
এবার তৃণমূল দাবি করল যারা দল ছেড়েছেন তাদের মধ্যে একজন বিধায়ক এবং ৬ জন কাউন্সিলর ছাড়া আর কেউ তৃণমূলের নয়। দল বদল করেছেন বীজপুরের তৃণমূল বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়, বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তুষারকান্তি ভট্টাচার্য এবং হেমতাবাদের বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়। বিজেপি নেতা মুকুল রায় এবং কৈলাশ বিজয়বর্গীয়ের উপস্থিতিতে এই যোগদান হয়। সাংবাদিকদের কৈলাশ বলেন, বাংলার একটি সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ৪০ জন তৃণমূল বিধায়ক আমদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। তখন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক'ও ব্রায়েন বলেছিলেন, বিধায়ক তো কোন ছাড়, একজন কাউন্সিলরও দল বদল করবেন না। কিন্তু এখানে ৫০ জনের বেশি কাউন্সিলর আছেন। বিধায়ক আছেন তিনজন। পরের মাস থেকে আরও অনেকে যোগ দেবেন বিজেপিতে। বাংলায় সাত দফায় নির্বাচন হয়েছিল। পরের মাসে আমরাও সাত দফায় যোগদান কর্মসূচি পালন করব। তিনি বলেন, প্রতি মাসে আলাদা আলাদা করে এ ধরনের কর্মসূচি হবে।
বিডি-প্রতিদিন/২৯ মে, ২০১৯/মাহবুব