পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জিকে কটাক্ষ করে বিজেপি নেতা মুকুল রায় বলেন, 'বুকের ব্যথা একদিনে হয়ে গেল, স্ট্রোক হয়ে গেল, ডাক্তার সারিয়ে দিল, তা আমি চাই না। বুকের ব্যথা ধিক ধিক করে বাড়ুক। একটু দলবদলে ব্যথা, আবার একটু বুকের ব্যথা কমল, আবার দলবদল, আবার বুকের ব্যথা’।
সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন এক সময়ের তৃণমূল কংগ্রেসের এই নেতা।
মমতার তৃণমূলকে হুমকি দিয়ে তিনি বলেন, ২০২১-এর আগেই সংখ্যালঘু হবে রাজ্যে এখন সরকারে থাকা তৃণমূল। আভাস দিয়েছেন বিধানসভা নির্বাচন এগিয়ে আসারও।
দলবদল প্রসঙ্গে সাক্ষাৎকারে মুকুল রায় বলেছেন, দলবদলের অপেক্ষায় তৃণমূলের অন্তত দশ বিধায়ক- যোগাযোগ করেছেন সদ্য নির্বাচিত সাংসদদের একাংশ- এমনটাই দাবি করলেন বিজেপি নেতা মুকুল। ২০২১-এর আগেই সংখ্যালঘু হয়ে পড়বে তৃণমূল সরকার- এমনটাই দাবি করেছেন মুকুল রায়।
২০১৪ সালে রাজ্যে বিজেপির ২ সাংসদের ২ জনই মন্ত্রী। আর ২০১৯-এ ১৮ জন সাংসদের দুজন মন্ত্রী। অনেকেই ভেবেছিলেন আরও মন্ত্রী হবে। ক্যাবিনেট মন্ত্রীও পাবে বাংলা। তা হয়নি। এবিষয়ে মুকুল রাযের ভাষ্য হচ্ছে তিনিও তাড়াতাড়ি কোনও কিছুর পক্ষপাতি নন। সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন, একটু অপেক্ষা করুন। জাতীয় দল হওয়ার সুবাদে সারা ভারতের বাধ্যবাধকতার কথা চিন্তু করেই মন্ত্রিসভা গঠন হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মানুষের ভাবাবেগকে বিজেপি গুরুত্ব দেয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
তৃণমূলে থাকার সময় তিনি বিরোধীদের ডেরায় কার্যত ছিপ ফেলে বসে থাকতেন। তার হাত ধরে অন্তত এক ডজন নেতা বাম-কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে এসেছিলেন। বিজেপিতে নাম লিখিয়ে সেই মুকুল এখন অর্জুন সিংয়ের মতো 'হেভিওয়েট'কে তৃণমূল থেকে নিজের দলে নিয়ে এসে 'কৃষ্ণ' নামে খ্যাত হয়েছেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন