‘বেদের মেয়ে জোসনা’ খ্যাত অভিনেত্রী অঞ্জু ঘোষকে নিয়ে কলকাতায় শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। আর এই বিতর্ক তার নাগরিকত্ব নিয়ে।
বুধবার কলকাতায় সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগ দেন এই অভিনেত্রী। এরপরই শুরু হয় নানা আলোচনা-সমালোচনা।
তৃণমূলের সমর্থকদের দাবি, অঞ্জু ঘোষ আসলে একজন বাংলাদেশের নাগরিক। এমনকি উইকিপিডিয়াতেও তাকে এতো দিন বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে দেখানো হয়। তিনি কীভাবে বিজেপিতে যোগ দিলেন?
অনেকেই মন্তব্য করেন, অঞ্জু ঘোষের আসল নাম অঞ্জলি ঘোষ। তার জন্ম বাংলাদেশের ফরিদপুরের ভাঙায়। কিন্তু অঞ্জু নিজে এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন, ভারতেই তিনি জন্মেছেন, বড় হয়েছেন। তার বাবা-মাতা এখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন।
মূলত অঞ্জু ঘোষকে নিয়ে এই বিতর্কের আগুনে ঘি ঢালে বিজেপি। ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, বিজেপির পক্ষ থেকে আজ বুধবার জানানো হয়, অঞ্জু ঘোষ বাংলাদেশের নাগরিক নন। তিনি ভারতের নাগরিক।
প্রমাণ হিসাবে বলা হয়, অঞ্জুর কাছে ভারতের পাসপোর্ট আছে। গেরুয়া শিবির থেকে দাবি করা হয়, সদ্য অনুষ্ঠিত লোকসভা নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন অঞ্জু। প্রতিপক্ষের সমালোচনার জবাবে বিজেপি থেকে পাল্টা প্রশ্ন ছোড়া হয়, ভারতীয় নাগরিক না হলে অঞ্জু ভোট দেন কি করে? বিজেপির এমন পাল্টা জবাবেও বিতর্ক থামেনি।
বৃহস্পতিবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষই প্রথম সোশ্যাল মিডিয়ায় অঞ্জু ঘোষের জন্মসনদের একটি ছবি পোস্ট করেন। পরে সেদিন বিকালেই বিজেপির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে অঞ্জু ঘোষের জন্মসনদ, পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্র সাংবাদিকদের দেয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বিজেপির পক্ষে জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, অঞ্জু ঘোষের জন্মসনদ কলকাতা পৌরসভা থেকে দেয়া হয়েছে। এর জন্য মেয়র ফিরহাদ হাকিম জবাব দেবেন।
বিডি প্রতিদিন/০৭ জুন, ২০১৯/আরাফাত