রাস্তা নির্মাণের জন্য জোর করে জমি অধিগ্রহণের প্রতিবাদ করার হাঁটুতে দড়ি বেঁধে টেনে হিঁচড়ে এক শিক্ষিকাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুরে। আর অভিযোগের তীর রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের এক পঞ্চায়েত নেতার বিরুদ্ধে।
এনডিটিভির খবর, শিক্ষিকার বোনও যখন প্রতিবাদ জানাতে এগিয়ে আসেন একই অত্যাচার চলে তার উপরেও! তাকেও মাটিতে ফেলে দেওয়া হয় এবং তৃণমূল নেতা অমল সরকারের নেতৃত্বে দুষ্কৃতিরা তাকেও নির্যাতন করে।
এদিকে, এ ঘটনায় রবিবার তৃণমূলের জেলা প্রধান অর্পিতা ঘোষ পঞ্চায়েত নেতা অমল সরকারকে বরখাস্তের নির্দেশ দেন। তবে রবিবার গভীর রাত পর্যন্ত এই মামলায় কেউই গ্রেফতার হয়নি।
জানা গেছে, স্মৃতিকণা এবং সোমা, দু'জনকেই প্রাথমিকভাবে বলা হয়েছিল যে তাদের বাড়ির সামনে নির্মিত রাস্তাটি ১২ ফুট প্রশস্ত হবে। তারা এর জন্য জমি ছেড়ে দিতে রাজিও হয়েছিলেন। অভিযোগ, এরপর আচমকাই পঞ্চায়েত ওই রাস্তাটি চব্বিশ ফুট পর্যন্ত প্রশস্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়। অর্থাৎ আরও অনেকখানি জমিই অধিগ্রহণ করা হবে তখন প্রথম আপত্তি জানান ওই নারীরা। পরে অধিগ্রহণের দিন বাধা দেওয়ায় হেনস্তা করা হয় তাদের।
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব