পশ্চিমবঙ্গে বৃহস্পতিবার শেষ দফার ভোট হয়। এর একদিন পর শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই বিধিনিষেধে (আংশিক লকডাউন) গেল রাজ্য। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রুখতে শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই রাজ্যের সব শপিংমল, বিউটি পার্লার, সিনেমা হল, রেস্তোঁরা, বার, স্পোর্টস কমপ্লেক্স, জিম, স্পা, সুইমিং পুল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হলো। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত বন্ধের আওতায় থাকবে এই ক্ষেত্রগুলো।
শুক্রবার এক প্রজ্ঞাপন জারি করে এই নির্দেশ দেয় রাজ্য সরকার। বেঁধে দেওয়া হয় বাজারের সময়সীমাও। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সকালে ৭টা থেকে ১০টা এবং বিকালে ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত সব বাজার, হাট খোলা থাকবে। যদিও ওষুধের দোকান, মুদি দোকানের মতো জরুরি পরিষেবা এর আওতা থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছে।
ওই নির্দেশিকায় রাজ্যে সব ধরনের সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষা, বিনোদনমূলক জমায়েতও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আগামী ২ মে, বিধানসভার ভোটগণনার দিন গণনাকেন্দ্রে জমায়েত বা বিজয় মিছিলের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল নির্বাচন কমিশন- সেই নির্দেশও জারি রাখল রাজ্য সরকার।
নিয়ম ভাঙলে ২০০৫ সালের ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট (ডিএম) আইনের আওতায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় বেসামাল পশ্চিমবঙ্গ তথা গোটা ভারত। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। দেশজুড়েই অক্সিজেন সিলিন্ডার, হাসপাতাল বেড পাওয়া নিয়ে হাহাকার দেখা দিয়েছে। আট দফায় চলা রাজ্য বিধানসভার নির্বাচনে এই সংক্রমণের সংখ্যা আরও বেড়েছে বলে অভিযোগ। করোনা সংক্রমণ রুখতে ইতোমধ্যেই দিল্লি, মহারাষ্ট্রসহ একাধিক রাজ্য ও শহরে আংশিক লকডাউন বা নাইট কার্ফুর পথে হেঁটেছে। এবার সেই পথ অনুসরণ করল পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
গত বৃহস্পতিবার একদিনেই রাজ্যে করোনায় মৃত্যু হয় ৮৯ জনের, সবমিলিয়ে রাজ্যে মৃতের সংখ্যা ১১,২৪৮ জন। করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৮ লাখের গণ্ডি পেরিয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ