১১ জুন, ২০২১ ১৯:০৩
তৃণমূলে যোগ দিয়েই বললেন, `বিজেপিতে কেউ থাকবে না'

বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসেই ফিরে এলেন মুকুল রায়

দীপক দেবনাথ, কলকাতা

বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসেই ফিরে এলেন মুকুল রায়

তৃণমূলে যোগ দিলেন মুকুল রায়। ছবি : এএনআই

দীর্ঘ চার বছর পর পুরনো দল পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরলেন দলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য বর্তমানে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি ও বিধায়ক মুকুল রায়। 

শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূলে যোগ দেন তৃণলের একদা ‘সেকেন্ড-ইন-কমান্ড’ মুকুল রায়। এদিন বিকালে কলকাতার তৃণমূল ভবনে দলের প্রধান মমতা ব্যানার্জির হাত থেকে দলের পতাকা তুলে নেন মুকুল রায়। মুকুলের সঙ্গে এদিন তৃণমূলে যোগ দেন তার পুত্র সাবেক বিধায়ক ও বিজেপি নেতা শুভ্রাংশু রায়।

এর আগে এদিন দুপুরে সল্টলেকের বাড়ি থেকে বেরিয়ে তৃণমূল ভবনে পৌঁছে যান মুকুল রায়। তার সাথে ছিলেন পুত্র শুভ্রাংশু রায়। সেখানে মমতার সঙ্গে বৈঠক করেন তারা। ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জি, রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, পার্থ চ্যাটার্জি, জাভেদ খান, সুব্রত বক্সীসহ দলের শীর্ষ নেতারা। পরে সাংবাদিক সম্মেলনে মুকুল ও শুভ্রাংশুকে উত্তরীয় পড়িয়ে স্বাগত জানান অভিষেক ব্যানার্জি।
 
এরপর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মুকুল রায় জানান, ‘বিজেপি ছেড়ে বেরিয়ে এসে এই নতুন আঙিনায় পুরনো সহকর্মীদের সাথে দেখা হয়ে নিজের খবু ভালো লাগছে। আমার আশা বাংলা আবার তার নিজের জায়গায় ফিরবে এবং এই কাজে যিনি বাংলাকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেবেন তিনি আমাদের সকলের নেত্রী, ভারতের নেত্রী মমতা ব্যানার্জি।’ 

যদিও বিজেপি ছাড়ার কারণ হিসেবে মুকুল বলেন, ‘বিজেপি করতে পারলাম না, করবো না বলেই আমি দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি ও পুরনো ঘরে ফিরে এসেছি। যদিও বিজেপি ছাড়ার বিস্তারিত কারণ পরে লিখিতভাবে জানানো হবে বলেও এদিন জানান মুকুল রায়। বাংলার যে পরিস্থিতি এই অবসস্থায় কেউ বিজেপিতে থাকবে না বলেও তার অভিমত। মুকুল আরও বলেন, ‘অভিষেকের সঙ্গে কোনোদিনই আমার মতবিরোধ ছিল না, আজও নেই, আগামীতেও থাকবে না।’  

উল্লেখ্য, ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের সাবেক যুব নেতা মুকুল রায় ১৯৯৮ সালের ১ জানুয়ারী তৃণমূল কংগ্রেস প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সময় থেকেই দলের সঙ্গে ছিলেন। ২০০৬ সালে দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচত করা হয় মমতার অন্যতম সহযোগী ও বিশ্বস্ত সহকর্মী মুকুল রায়কে।  দুইবারের রাজ্যসভার সাংসদ ছাড়াও ভারতের রেলমন্ত্রী ছিলেন তিনি, জাহাজ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীও ছিলেন। কিন্তু ২০১৫ সালে সারদা চিটফান্ড কেলেঙ্কারি ও নারদা স্টিং অপারেশন মামলায় মুকুলের নাম জড়িয়ে যাওয়ার পরই দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে। সেসময় তৎকলীণ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুন জেটলি ও বিজেপি কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র সাতে মুকুলের সাক্ষাৎ নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। এরপরই দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে ছয় বছরের জন্য তাকে বহিষ্কার করে তৃণমূল কংগ্রেস। ২০১৭ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়েন মুকুল রায়। এরপর ওই বছরের ১১ অক্টোবর রাজ্যসভার পদ থেকে পদত্যাগ করেন মুকুল। ২০১৭ সালের ৩ নভেম্বর বিজেপিতে যোগ দেন মুকুল।  

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর