টিফিন পিরিয়ডের পর প্রধান শিক্ষকের কাছে স্কুল থেকে বেরনোর অনুমতি চেয়েছিলেন সহকারী শিক্ষক। কিন্তু তাকে অনুমতি দেননি প্রধান শিক্ষক। তারপরও ওইদিন তিনি বেরিয়ে যান। পরদিন সময়মতো স্কুলে আসেন সহকারী শিক্ষক।
এরপর প্রধান শিক্ষক বিষয়টি জানতে চান। এতে স্কুলের মধ্যে দুই শিক্ষকের হাতাহাতি শুরু হয়। তখন ঘুষি মেরে সহকারী শিক্ষকের নাক ফাটিয়ে দেন প্রধান শিক্ষক। এমই অভিযোগ। ঘটনা পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাজিতপুর উত্তরপাড়া এমএসকে স্কুলের।
প্রধান শিক্ষকের নাম জয়দেব ঘোষ। আক্রান্ত শিক্ষকের নাম কার্তিক পাল। কার্তিক পালের দাবি, গত প্রায় ২ বছর ধরে প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা পান তিনি। সে টাকা পরিশোধ করেননি প্রধান শিক্ষক। তা নিয়েও দুই শিক্ষকের মধ্যে বিবাদ লেগেই ছিল।
কার্তিক পালের দাবি, শুক্রবার স্কুলে ঢোকার পরই প্রধান শিক্ষক তাকে এলোপাথাড়ি মারধর করেন। নাক ফাটিয়ে দেওয়া হয় তার। রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটে। যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকেন তিনি। স্থানীয়রা দৌড়ে আসেন। জখম শিক্ষককে উদ্ধার করে দেগঙ্গার বিশ্বনাথপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বারাসত হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
এ ঘটনায় অভিভাবকরা প্রধান শিক্ষক জয়দেব পালের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। অভিযুক্ত জয়দেব পালের দাবি, ওই শিক্ষক পড়ে গিয়ে আহত পেয়েছেন। তিনি কাউকে মারধর করেননি। তবে অভিভাবকদের দাবি, প্রধান শিক্ষককে মারধর করতে দেখেছেন তারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দেগঙ্গা থানার পুলিশ। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে আটক করা হয়।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ