জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনে কলকাতা শহরের একটি বড় ভূমিকা রয়েছে। এই কলকাতা শহরেই জীবনের একটা সময় কাটিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। এখানকার কলেজে তার পড়াশোনা, রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়া, আরো কত কি! সেই কলকাতার বিভিন্ন সময় কাটানো টুকরো টুকরো মুহূর্তকে উপজীব্য করেই নির্মাণ করা হচ্ছে প্রামাণ্যচিত্র "কলকাতায় বঙ্গবন্ধু"।
কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপদূতাবাস এবং ফ্রেন্ডস অফ বাংলাদেশ এর যৌথ প্রযোজনায় তৈরি হচ্ছে এই প্রামাণ্যচিত্রটি।
এই তথ্যচিত্রটির নির্মাতা প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষ। বঙ্গবন্ধুর ছাত্রজীবন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, কলকাতায় তার জীবন, সহ নানা কর্মকাণ্ড তুলে ধরা হবে এই তথ্যচিত্রে।
সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে এই তথ্যচিত্রটির শুটিং শুরু হলো কলকাতার রফি আহমেদ কিদোয়াই স্ট্রিটে অবস্থিত মৌলানা আজাদ কলেজ চত্বরে। এ সময় পরিচালক গৌতম ঘোষ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ এর সহ-সভাপতি ও এই তথ্যচিত্রের সহ-প্রযোজক সত্যম রায়চৌধুরী, ওই কলেজের অধ্যক্ষ শুভাশিস দত্ত, বাংলাদেশ হাইকমিশনের উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান, প্রথম সচিব (প্রেস) রঞ্জন সেন, প্রথম সচিব (রাজনৈতিক-১) শামীমা ইয়াসমিন স্মৃতি প্রমূখ। শুটিং দেখতে ভিড় জমিয়েছিলেন ওই কলেজের বহু শিক্ষার্থীরাও।
উল্লেখ্য, ১৯৪৫-৪৬ শিক্ষাবর্ষে এই কলেজের ছাত্র ছিলেন বঙ্গবন্ধু। সেসময় কলকাতার বেকার হোস্টেলে থাকতেন তিনি।
এই মৌলানা আজাদ কলেজে পড়াশোনা, ছাত্রাবস্থায় বেকার হোস্টেলে থাকা, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আন্দোলনে জড়িয়ে পড়া, আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে রাত কাটানো, পার্ক সার্কাসে ঘুরে বেড়ানো, কিংবা কলকাতার ব্রিগেড ময়দানে তার আগুন ঝরানো ভাষণ-এমন আরও অনেক কিছু দেখা যাবে গৌতম ঘোষ পরিচালিত ৩০ মিনিটের এই প্রামাণ্যচিত্রে। আগামী জুনের মধ্যেই মুক্তি পাবে এই প্রামাণ্যচিত্রটি। ভারত এবং বাংলাদেশ উভয় দেশেই যৌথভাবে দেখানো হবে এই ছবিটি।
সম্প্রতি এই তথ্যচিত্রটি নির্মাণে একটি ত্রিপাক্ষিক সমঝোতা পত্র স্বাক্ষরিত হয়। তাতে স্বাক্ষর করেন গৌতম ঘোষ, সত্যম রায়চৌধুরী এবং তৌফিক হাসান।
এ ব্যাপারে পরিচালক গৌতম ঘোষ জানান "আগামী তিন মাসের মধ্যেই এই প্রামাণ্যচিত্রটির শুটিংয়ের কাজ সম্পন্ন হবে। কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি তুলে ধরার পাশাপাশি বাংলাদেশে তার জন্মস্থান টুঙ্গিপাড়া, ধানমন্ডির বাসভবন সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ স্থানের তুলে ধরা হবে সেইসাথে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাক্ষাতকারও থাকবে উচিত তথ্যচিত্রে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন