যথাযোগ্য মর্যাদায় কলকাতায় পালন করা হল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস।
এ উপলক্ষ্যে রবিবার কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন চত্ত্বরে সকাল ১০ টা নাগাদ জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এর পর উপহাইকমিশন প্রাঙ্গণে ‘মুজিব চিরঞ্জীব’ মঞ্চে বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্যে শ্রদ্ধাজ্ঞলি নিবেদন করা হয়।
এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন উপহাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস, প্রথম সচিব (রাজনৈতিক-১) ও দূতালয় প্রধান শামীমা ইয়াসমীন স্মৃতি, কাউন্সেলর (রাজনৈতিক) সিকদার মোহাম্মদ আশরাফুর রহমান, কাউন্সেলর (কনস্যুলর) বসির উদ্দিন, কাউন্সেলর (শিক্ষা ও ক্রীড়া) রিয়াজুল ইসলাম সহ উপ-হাইকমিশনের সকল কর্মকর্তা, সোনালী ব্যাংক লিমিটেড (ইন্ডিয়া অপারেশন), বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স কলকাতার শীর্ষ কর্মকর্তারা।
পরে বাংলাদেশ গ্যালারিতে অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশের রাষ্টপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। এর পাশাপাশি এই দিবসটির তাৎপর্যতা নিয়ে আলোচনা সভা, একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন, সবশেষে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এদিনের আলোচনা সভায় মুখ্য আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের স্বাধীনতা সম্মাননা পুরস্কারপ্রাপ্ত বিশিষ্ট সাংবাদিক সুখরঞ্জন দাশগুপ্ত, মিশনের কাউন্সেলর (রাজনৈতিক) শিকদার মোহাম্মদ আশরাফুর রহমান প্রমুখ। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই দিনটির কি গুরুত্ব বহন করে এবং ভারতের ভূমিকা কি ছিল সেই সমস্ত বিষয় আলোচনায় উঠে আসে।
উপহাইকমিশনার বলেন, ‘আজকের দিনটি অসম্ভব গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। ৫১ বছর আগে এই দিনে বাংলাদেশের প্রথম প্রবাসী সরকার তৈরি হয়েছিল। যার ওপর ভিত্তি করে মুক্তিযুদ্ধ এগিয়ে যায়। সেখান থেকেই সঠিক নির্দেশনা দেওয়ার শুরু হয়। এই উপলক্ষ্যে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ, বাণী পাঠ করা হয়।’
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন