শিরোনাম
- একজন নয়, প্রতি ভোটকেন্দ্রে পাঁচজন সেনাসদস্য চায় জামায়াত
- গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে : ফখরুল
- দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা
- নির্বাচন কমিশনকে দৃষ্টান্তমূলক ভূমিকা রাখার আহ্বান জোনায়েদ সাকির
- মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ায় কয়েক দফা হামলা ইউক্রেনের
- সাংবাদিক সোহেলকে ডিবি তুলে নেওয়ার বিষয়ে যা বলল টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়
- গণঅভ্যুত্থানে অংশীজনদের নিয়ে আসন সমঝোতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি: নুর
- পল্লবীতে যুবদল নেতা হত্যা, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেফতার
- নারীদের পেছনে রেখে পুরুষরা এগিয়ে যেতে পারবে না : ধর্ম উপদেষ্টা
- রমজানের আগে ছোলা-খেজুরসহ ছয় ভোগ্যপণ্যের আমদানি বেড়েছে
- শেখ হাসিনাকে কেন ফেরত দেবে না ভারত, আল–জাজিরার বিশ্লেষণ
- অক্টোবরে সড়কে ঝরেছে ৪৪১ প্রাণ : রোড সেফটি ফাউন্ডেশন
- জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করতে হবে: শামা ওবায়েদ
- ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ১৭৪৪ মামলা
- বিজয় দিবসে এবারও প্যারেড হবে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- শ্রীপুরে যুবদল নেতার ঝুট গুদামে আগুন
- লটারির মাধ্যমে ডিসি-এসপি বদলির দাবি গোলাম পরওয়ারের
- সাংবাদিক ও প্রশাসন একে অপরের পরিপূরক: মুন্সীগঞ্জ ডিসি
- টাঙ্গাইলে বিএফআরআই উদ্ভাবিত প্রযুক্তি পরিচিতি বিষয়ক কর্মশালা
- ময়মনসিংহে ট্রেনে দুর্বৃত্তদের আগুন
ভারতের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ভীত অমর্ত্য সেন
দীপক দেবনাথ, কলকাতা
অনলাইন ভার্সন
সহিষ্ণুতা নয়, ভারতে ঐক্যের অভাব আছে বলে মনে করেন ভারতের নোবেলজয়ী অধ্যাপক অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। দেশটির বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে যথেষ্ট ভয়ের কারণ আছে বলেও মনে করেন তিনি। বৃহস্পতিবার সল্টলেকে অমর্ত্য সেন রিসার্চ সেন্টারের উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এদিন প্রতীচি ট্রাস্ট আয়োজিত ‘ব্যাক টু স্কুল’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়েই সাংবাদকিদের প্রশ্ন ছিল দেশের কোন পরিস্থিতি আপনাকে ভয় পাওয়ায়? সেই প্রশ্নের উত্তরে অন্নদাশঙ্করের একটি কবিতার লাইন তুলে ধরে অমর্ত্য সেন বলেন ‘তেলের শিশি ভাঙল বলে খুকুর উপর রাগ করো, তোমরা যে সব ধেড়ে খোকা ভারত ভেঙে ভাগ করো...। সেটা শুধু ভারত-পাকিস্তান বিভাজনের ক্ষেত্রে খাটে না, এই ঘটনা যদি বড় রকমের হতে থাকে এবং একটা দলের উপর যদি আর একটা দল তাদের শক্তি ব্যবহার করতে থাকে তবে সেটাও তেলের শিশির মত অবস্থা হবে। সেখানে ভারত জাতিকে বিভক্ত করার যে প্রচেষ্টা- তার অনেকটা ফল আমরা দেখতে পাই। সেই ফলের মধ্যে কুফল খুবই বেশি। সেটা নিয়ে আমাদের চিন্তা করার সত্যিই খুব কারণ আছে।
সহিষ্ণুতার প্রশ্নে অর্থনীতিবিদ বলেন ‘ভারতের সহিষ্ণুতার ইতিহাস রয়েছে। জিউস, খ্রিষ্টানসহ অনেকেই ভারতে এসেছেন। আমরা তখন সহিষ্ণু ছিলাম, তাই আমাদের সহিষ্ণুতার ইতিহাস আছে। কিন্তু এর থেকেও জরুরি মানুষের আরও ঐক্যবদ্ধ হওয়াটা। এটা দেশবাসীর আরও বেশি করে বোঝা উচিত।’
বিচারব্যবস্থার সাথেও প্রশাসনের সামঞ্জস্য থাকা উচিত বলেন মনে করেন তিনি। কারণ সাধারণ মানুষ বিচারব্যবস্থা দিকে থাকে। তাই আইনের অপব্যবহার করেও অনেককে আটক করা হয়।’
ছোটবেলার একটা কথা স্মরণ করে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ বলেন ‘যারা জেলে থাকতো, আমি তাদের দেখতে যেতাম। স্বাধীনতা সংগ্রামী মামা’র কাছে আমার প্রশ্ন ছিল যে যারা খুন করেনি তারা জেলে কেন? এর উত্তরে আমার মামা বলেছিলেন ‘এটা চলতেই থাকবে। ভারতে স্বাধীনতা পাওয়া অব্দি এটা চলতেই থাকবে, তার আগে এটা বন্ধ হবে না। কিন্তু স্বাধীনতা পাওয়ার পরেও যে এটা চলতে পারে, মামা আমাকে তখন সেটা বলেননি। তিনি বোধহয় আশঙ্কাও করেননি। কিন্তু এই জিনিসটাই এখনো চলছে। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় মানুষ এখনো কিভাবে এই বিষয়গুলো এটাকে গ্রাহ্য করছেন।’
অমর্ত্য সেন ছাড়াও এদিনের অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের কৃষি মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, অধ্যাপক অনিতা রামপাল, বেলজিয়াম বংশোদ্ভুত ভারতীয় পরিবেশ বিজ্ঞানী ও পরিবেশবিদ জিন ড্রিজ, অর্থনীতিবিদ এ.কে.শিবকুমার, রাজ্যটির সাবেক অর্থমন্ত্রী অসীম দাসগুপ্ত, অধ্যাপক ও সাবেক তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সুগত বসু সহ বিশিষ্টরা।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন
এই বিভাগের আরও খবর