শিরোনাম
- শান্তি প্রস্তাব মেনে নিতে ইউক্রেনকে সময় বেঁধে দিলেন ট্রাম্প
- মামদানিকে ট্রাম্পের অভিনন্দন, বৈঠককে বললেন ‘দারুণ ও ফলপ্রসূ’
- ফাইনালে পাকিস্তানকে পেল বাংলাদেশ
- ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩০
- বিএনপির রাজনীতিতে সব ধর্মের প্রতি সম্মান আছে : এ্যানী
- আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
- রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান
- ঢাকায় ভূমিকম্পে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের সমবেদনা
- ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ
- নারায়ণগঞ্জ জেলায় ভূমিকম্পে শিশুর মৃত্যু, আহত ২৪
- যাত্রাবাড়ীতে নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ
- রাজধানীতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি
- ‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’
- পোস্টাল ভোটিং: দুই দিনে সাড়ে ৬ হাজার নিবন্ধন
- একসঙ্গে সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ শিক্ষক
- হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা
- ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে
- রাজশাহীতে বদ্ধ ঘর থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
- ‘ঢাকার পুরনো ভবনগুলোর ৯০ শতাংশ বিল্ডিং কোড না মেনে নির্মিত’
- ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০
ভারতের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ভীত অমর্ত্য সেন
দীপক দেবনাথ, কলকাতা
অনলাইন ভার্সন
সহিষ্ণুতা নয়, ভারতে ঐক্যের অভাব আছে বলে মনে করেন ভারতের নোবেলজয়ী অধ্যাপক অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। দেশটির বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে যথেষ্ট ভয়ের কারণ আছে বলেও মনে করেন তিনি। বৃহস্পতিবার সল্টলেকে অমর্ত্য সেন রিসার্চ সেন্টারের উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এদিন প্রতীচি ট্রাস্ট আয়োজিত ‘ব্যাক টু স্কুল’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়েই সাংবাদকিদের প্রশ্ন ছিল দেশের কোন পরিস্থিতি আপনাকে ভয় পাওয়ায়? সেই প্রশ্নের উত্তরে অন্নদাশঙ্করের একটি কবিতার লাইন তুলে ধরে অমর্ত্য সেন বলেন ‘তেলের শিশি ভাঙল বলে খুকুর উপর রাগ করো, তোমরা যে সব ধেড়ে খোকা ভারত ভেঙে ভাগ করো...। সেটা শুধু ভারত-পাকিস্তান বিভাজনের ক্ষেত্রে খাটে না, এই ঘটনা যদি বড় রকমের হতে থাকে এবং একটা দলের উপর যদি আর একটা দল তাদের শক্তি ব্যবহার করতে থাকে তবে সেটাও তেলের শিশির মত অবস্থা হবে। সেখানে ভারত জাতিকে বিভক্ত করার যে প্রচেষ্টা- তার অনেকটা ফল আমরা দেখতে পাই। সেই ফলের মধ্যে কুফল খুবই বেশি। সেটা নিয়ে আমাদের চিন্তা করার সত্যিই খুব কারণ আছে।
সহিষ্ণুতার প্রশ্নে অর্থনীতিবিদ বলেন ‘ভারতের সহিষ্ণুতার ইতিহাস রয়েছে। জিউস, খ্রিষ্টানসহ অনেকেই ভারতে এসেছেন। আমরা তখন সহিষ্ণু ছিলাম, তাই আমাদের সহিষ্ণুতার ইতিহাস আছে। কিন্তু এর থেকেও জরুরি মানুষের আরও ঐক্যবদ্ধ হওয়াটা। এটা দেশবাসীর আরও বেশি করে বোঝা উচিত।’
বিচারব্যবস্থার সাথেও প্রশাসনের সামঞ্জস্য থাকা উচিত বলেন মনে করেন তিনি। কারণ সাধারণ মানুষ বিচারব্যবস্থা দিকে থাকে। তাই আইনের অপব্যবহার করেও অনেককে আটক করা হয়।’
ছোটবেলার একটা কথা স্মরণ করে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ বলেন ‘যারা জেলে থাকতো, আমি তাদের দেখতে যেতাম। স্বাধীনতা সংগ্রামী মামা’র কাছে আমার প্রশ্ন ছিল যে যারা খুন করেনি তারা জেলে কেন? এর উত্তরে আমার মামা বলেছিলেন ‘এটা চলতেই থাকবে। ভারতে স্বাধীনতা পাওয়া অব্দি এটা চলতেই থাকবে, তার আগে এটা বন্ধ হবে না। কিন্তু স্বাধীনতা পাওয়ার পরেও যে এটা চলতে পারে, মামা আমাকে তখন সেটা বলেননি। তিনি বোধহয় আশঙ্কাও করেননি। কিন্তু এই জিনিসটাই এখনো চলছে। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় মানুষ এখনো কিভাবে এই বিষয়গুলো এটাকে গ্রাহ্য করছেন।’
অমর্ত্য সেন ছাড়াও এদিনের অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের কৃষি মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, অধ্যাপক অনিতা রামপাল, বেলজিয়াম বংশোদ্ভুত ভারতীয় পরিবেশ বিজ্ঞানী ও পরিবেশবিদ জিন ড্রিজ, অর্থনীতিবিদ এ.কে.শিবকুমার, রাজ্যটির সাবেক অর্থমন্ত্রী অসীম দাসগুপ্ত, অধ্যাপক ও সাবেক তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সুগত বসু সহ বিশিষ্টরা।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর