মঙ্গলবার, ২২ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা
কৃষি সংবাদ

সমুদ্র উপকূলে লবণসহিষ্ণু পাট

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

সমুদ্র উপকূলে লবণসহিষ্ণু পাট

সমূদ্র উপকূল বা লবণাক্ত মাটিতে পাটের চাষ হয় না বলে যে ধারণা ছিল, তা পাল্টে দিয়েছে পটুয়াখালীর কলাপাড়াসহ উপকূলীয় অঞ্চলের চাষিরা। তারা পতিত জমিতে লবণসহিষ্ণু নতুন জাতের চারটি দেশি পাটের চাষ করে শতভাগ সফলতা পেয়েছেন।

পাখিমারা পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের তথ্যানুযায়ী, উপকূলীয় অঞ্চলে আবাদি জমির পরিমাণ ২.৮৬ মিলিয়ন হেক্টর। যার মধ্যে মাত্র ৩০ ভাগ জমি চাষযোগ্য। এরমধ্যে ১.০৬ মিলিয়ন হেক্টর জমি বিভিন্ন মাত্রার লবণাক্ততায় আক্রান্ত। লবণাক্ত জেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ভোলা, বরগুনা, কক্সবাজার, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, পটুয়াখালী এবং পিরোজপুর। পটুয়াখালীতে প্রায় দেড় লাখ হেক্টর জমি খরিফ-১ মৌসুমে লবণাক্ততার কারণে পতিত পড়ে থাকে। এসব জমি পাট চাষের আওতায় আনার জন্য ২০১৫ সাল থেকে বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের পাখিমারা গবেষণা ব্লকে দেশি পাটের লবণসহিষ্ণু চারটি জাতের পরীক্ষা চালানো হয়। স্থানীয় কৃষকদের পতিত জমিতে এ জাতের পাট চাষে উৎসাহিত করা হয়। তারপর এ পাট চাষ করে শতভাগ সফলতা পাওয়া গেছে। পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটে কর্মরত লবণসহিষ্ণু পাটের জাত উদ্ভাবক ড. মাহমুদ আল হোসেন জানান, পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক উদ্ভাবিত লবণসহিষ্ণু দেশি পাট-৮ জাতের ১৪ ডিএস/মিটার এবং ৯ ডিএস/মিটার মাত্রার সহনশীল চারটি লাইন উদ্ভাবন করা হয়েছে। কৃষকের জমিতে মাঠ মূল্যায়নের মাধ্যমে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার পশ্চিম খাজুরায় ১৩.৪৫ ডিএস/মিটার, মম্বিপাড়ায় ১১.৬ ডিএস/মিটার, মিশ্রিপাড়ায় ৮.৩০ ডিএস/মিটারে এই পাট চাষ করে দারুণ সফলতা পাওয়া গেছে। বিজেআরআই মহাপরিচালক ড. মনজুরুল আলম বলেন, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় কৃষকদের এ পাট চাষে সম্পৃক্ত করা গেলে কৃষি অর্থনীতিতে আসবে গতিশীলতা, কৃষক হবে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী, পাট ফিরে পাবে তার হারানো অতীত। এতেকরে আর পতিত থাকবে না কোনো জমি। যা জাতীয় অর্থনীতিতে যোগ করতে পারে নতুন মাত্রা।

 

সর্বশেষ খবর