বুধবার, ১১ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

পাঁচ মিনিটের ঝড়ে লণ্ডভণ্ড ১৮ গ্রাম

বাঘায় একজনের মৃত্যু, আহত ২০

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী ও নাটোর প্রতিনিধি

রাজশাহীর বাঘা ও নাটোরের লালপুর উপজেলায় গতকাল পাঁচ মিনিটের ঘূর্ণিঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়েছে ১৮ গ্রাম। ঝড়ের কবলে পড়ে বাঘায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। লালপুরে আহত হয়েছেন ২০ জন। স্থানীয়রা জানান, গতকাল সকাল থেকে বাঘায় মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। বেলা ১টার দিকে ঘূর্ণিঝড় বয়ে যায় উপজেলার ৮ গ্রামের উপর দিয়ে। গ্রামগুলো হলো—আড়ানী ইউনিয়নের হরিপুর, বেড়েরবাড়ি, ঝিনা, নুরনগর, গোচর, খয়ের মিল এবং বাউসা ইউনিয়নের দিঘা ও খাগরবাড়িয়া গ্রামের উপর দিয়ে। পাঁচ মিনিট স্থায়ী ঝড়ে ভেঙে গেছে এসব গ্রামের অসংখ্য গাছপালা। উড়ে গেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মন্দিরসহ প্রায় ২০০ পরিবারের টিনের চালা। ঝড়ের কবলে বাইসাইকেল থেকে পড়ে মারা গেছেন গোচর গ্রামের সাদের আলী (৫৫)। বাউসা ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফিক জানান, ঝড়ে ২০০ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নষ্ট হয়েছে জমির ফসলসহ গাছপালা। আড়ানী ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিক জানান, তার এলাকার ৬টি গ্রাম লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। রাস্তায় গাছ ভেঙে পড়ায় যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো আশ্রয় নিয়েছে খোলা আকাশের নিচে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা জানান, তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানিয়েছেন। স্থানীয় এমপি ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম জানান, ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তরা যাতে ভোগান্তিতে না পড়েন সেজন্য তিনি প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। তিনিও ভুক্তভোগীদের পাশে আছেন।

এদিকে নাটোরের লালপুর উপজেলার তিন ইউনিয়নের ১০টি গ্রামের দুই শতাধিক বাড়িঘর ঘূর্ণিঝড়ে বিধস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অসংখ্য গাছপালা। আহত হয়েছেন ২০ জন। আহতদের মধ্যে সাতজনকে লালপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের দেওয়া হয়েছে প্রাথমিক চিকিৎসা। কয়েক হাজার মানুষ খোলা আকাশের অবস্থান নিয়েছে। জানা যায়, গতকাল বেলা পৌনে ১২টার দিকে দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে হঠাৎ ধেয়ে আসে এই ঘূর্ণিঝড়। পাঁচ মিনিট স্থায়ী এ ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলো হলো— মহারকয়া, মোমিনপুর, রঘুনাথপুর, রহিমপুর, মুরদাহ, অমৃতপাড়া, বাকনা, বিসম্ভপুর, উদনপাড়া ও চকবাদিকুলপাড়া।

সর্বশেষ খবর