বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

নাতনিকে বিয়ে না দেওয়ায় নানী খুন

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর হাজারীবাগের মধুবাজারের একটি বাসায় পরিবারসহ থাকেন মায়া বেগম। তার মেয়ে শিলা স্থানীয় একটি স্কুলে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। একই এলাকার সমীর মুন্সি নামে এক বখাটের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে শিলার। কিন্তু বিয়ে দিতে নারাজ মায়া বেগম। থেমে থাকেনি সমীর মুন্সি। ভাব জমায় শিলার নানী রিজিয়া বেগমের (৬৫) সঙ্গে। কিন্তু রিজিয়া বেগমও রাজি না হওয়ায় সুযোগ বুঝে উপর্যুপরি কোপে তাকে খুন করে সমীর। সোমবার রাতে হাজী আক্তার হোসেন রোডের ১৩৭/৩০ নম্বর বাসায় এ ঘটনা ঘটে। ওই বাসায় বাকপ্রতিবন্ধী ছেলে হান্নানকে নিয়ে থাকতেন নানী এবং গৃহপরিচারিকার কাজ করতেন। নিহতের বাড়ি শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার ধুপখোলা গ্রামে। পুলিশ ও পরিবার সূত্র জানায়, রিজিয়া বেগমের মেয়ে মায়া বেগম পরিবারসহ মধুবাজারের একটি বাসায় থাকেন। মায়ার মেয়ে শিলা স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে পরিচয় হয় সমীরের সঙ্গে। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে সমীর শিলাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু সমীর বখাটে হওয়ায় শিলার মা মায়া রাজি হননি। সমীর কৌশল পাল্টে শিলার নানীর সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলে। একপর্যায়ে রিজিয়া বেগমের বাসায় থাকা-খাওয়া শুরু করে সমীর। সুযোগ বুঝে তার কাছে শিলাকে বিয়ের প্রস্তাবও দেয় সে। কিন্তু মায়া বেগমের মতো রাজি হননি রিজিয়াও। সমীরকে তার বাসায় আসতে নিষেধ করেন তিনি। এরপর প্রতিদিনের মতো কাজ শেষ করে সোমবার রাতে বাসায় ফেরেন রিজিয়া। রাত ১০টার পর ছেলেকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। মাঝরাতে তার ছেলে টয়লেটে গেলে সমীর রুমে ঢুকে রিজিয়ার বুকে ও পেটে উপর্যুপরি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। এতে রিজিয়া বেগম ঘটনাস্থলেই মারা যান। প্রতিবন্ধী ছেলে টয়লেট থেকে এসে মায়ের নিথর দেহ দেখে বুক চাপড়াতে থাকে।

হাজারীবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া জানান, এ ঘটনায় মায়া বেগম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন। ঘাতক সমীর মুন্সির গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায় বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

সর্বশেষ খবর