বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তি চাচ্ছে না বিএনপি। একই সঙ্গে সংসদ নির্বাচনে জয়ী নেতারা শপথ নিচ্ছেন না। গতকাল দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য প্যারোলে আবেদন না করে বরং জামিনের জন্য আইনি লড়াইকে আরও গুরুত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। আর কেউ দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে শপথ নিলে তার ব্যাপারে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ারও পরামর্শ দেন স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য। লন্ডন থেকে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও স্কাইপিতে যুক্ত হন।

গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত বৈঠক হয়। বৈঠকে অংশ নেওয়া একাধিক সদস্য বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এ তথ্য জানান। এতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী অংশ নেন। বৈঠকের বিষয়ে স্থায়ী কমিটির একজন নেতা জানান, সম্প্রতি বিএনপির নির্বাচিত এমপিরা শপথ নিচ্ছেন এমন সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্কাইপিতে সিনিয়র নেতাদের মতামত জানতে চান। এ সময় উপস্থিত স্থায়ী কমিটির সবাই শপথ না নেওয়ার পক্ষে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন। তাদের সবার অভিন্ন মতামতের ওপর ভিত্তি করে এমপিদের শপথ না নেওয়ার জন্য চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়। সূত্র জানায়, বৈঠকে বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়েও আলোচনা হয়। এ সময় হাসপাতালে তার চিকিৎসা কেমন চলছে তা তদারকি করারও সিদ্ধান্ত হয়।