রবিবার, ১৫ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা
সাইয়িদ, সুব্রত ও মন্টুদের বর্ধিত সভা

ড. কামালকে আলটিমেটাম

নিজস্ব প্রতিবেদক

গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনকে দুই সপ্তাহের সময় দিয়েছেন দলটির বাদ পড়া নেতারা। গতকাল বিকালে রাজধানীর মতিঝিলে গণফোরামের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সদ্য ভেঙে দেওয়া কমিটির নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক আবু সাইয়িদ এই আলটিমেটাম ঘোষণা করেন। এর আগে সেখানে দলের এক বর্ধিত সভার আয়োজন করেন নতুন আহ্বায়ক কমিটিতে বাদ পড়া নেতারা। এ সময় দলের সাবেক নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু ছাড়াও ভেঙে দেওয়া কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য জগলুল হায়দার আফ্রিক, সাংগঠনিক সম্পাদক লতিফুল বারী হামিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক আবু সাইয়িদ বলেন, আজকে আমরা গণফোরামের জেলা নেতাদের নিয়ে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির বর্ধিত সভা করেছি। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এখন থেকে দলীয় ঐক্য রক্ষায় ও সাংগঠনিক কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য গণফোরামের মুখপাত্র হিসেবে অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী দায়িত্ব পালন করবেন। আমরা গণফোরামের দীর্ঘদিনের মাঠপর্যায়ের নেতা-কর্মী হিসেবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনকে অনতিবিলম্বে দলীয় ঐক্য রক্ষাসহ দলকে ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা করার দাবি জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, ড. কামাল হোসেনকে সামনে রেখে উচ্চাভিলাষী ও কুচক্রী মহল দলে ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও গঠনতন্ত্র লঙ্ঘন করে ১০ মাস কেন্দ্রীয় কমিটির সভা আহ্বান করেনি। ফলে দলের মধ্যে বহিষ্কার পাল্টা বহিষ্কারের ঘটনা ঘটেছে। এই বর্ধিত সভায় কত জেলার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন? এক প্রশ্নের জবাবে ভেঙে দেওয়া কমিটির এক নম্বর সদস্য ও দলটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু বলেন, এক দিনের নোটিসে আজকের (শনিবার) সভায় একটি জেলার প্রতিনিধি উপস্থিত হয়েছেন।

আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ড. কামাল হোসেন আপনাদের দাবি মানার উদ্যোগ না নিলে আপনারা নতুন দল গঠন করবেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে মোস্তফা মহসিন মন্টু বলেন, সেটা এখনই বলতে পারব না। সময় ও পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। তবে আজকের (শনিবার) সভা দুই সপ্তাহের জন্য মুলতবি করা হয়েছে। দুই সপ্তাহ পরে এখানেই আবার সভা করে আমার সিদ্ধান্ত জানাব।

মোস্তফা মহসিন মন্টু বলেন, ড. কামাল হোসেন ও ড. রেজা কিবরিয়ার নেতৃত্বে গণফোরামের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করাটা অগণতান্ত্রিক কাজ। দলের ভিতরে কোনো আলোচনা না করেই কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। আর যে আহ্বায়ক কমিটি হয়েছে- সেটাও অগণতান্ত্রিক উপায়ে হয়েছে। ড. রেজা কিবরিয়া দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন। বরং তিনি দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম গতিশীল করার পরিবর্তে দলের ভিতরে কোন্দল সৃষ্টি করেছেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর