সোমবার, ৩০ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা
জেলার রাজনীতি নেত্রকোনা

আওয়ামী লীগে আগের সমর্থন নেই সঠিক নেতৃত্ব নেই বিএনপিতেও

নেত্রকোনা প্রতিনিধি

নেত্রকোনার মাটি আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত হলেও এখন আর মানতে নারাজ সাধারণ মানুষ। গত এক দশকে নানা কারণে আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দলসহ জনগণের প্রত্যাশা পূরণ না হওয়ায় আগের সেই সমর্থন এখন নেই। তবে বিএনপিও দলীয় বিভক্তি ও সঠিক নেতৃত্বের অভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি তেমন বেগবান করতে পারছে না। তার ওপর রয়েছে মামলা-হামলার ভীতি। আর জাতীয় পার্টির কমিটি ঠিকঠাক থাকলেও মাঠের কোনো কর্মসূচিতে নেই দলটি। তবে নানা ইস্যুতে কমিউনিস্ট পার্টির কিছুটা উঁকিঝুঁকি আছে। সরকারি দল আওয়ামী লীগ নেত্রকোনায় তার জৌলুস হারিয়েছে। দলটিতে জনে জনে গ্রুপ। সেসব গ্রুপেও রয়েছে উপগ্রুপ। জেলার গুরুত্বপূর্ণ পদধারী প্রত্যেকেই নিজ নিজ গ্রুপ নিয়ে ব্যস্ত। প্রায় প্রতিটি উপজেলায় সভাপতি ও সম্পাদকের আধিপত্যের দ্বন্দ্ব রয়েছে। এরই মাঝে মোহনগঞ্জের কোন্দল প্রকাশ্যে রূপ নিয়েছে। এ ছাড়া অর্থ জোগানে রয়েছে অসম প্রতিযোগিতা। অনেক বছর পর ২০১৭ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়। কমিটির এক চতুর্থাংশ সদস্য ঢাকায় বসবাস করেন। বসন্তের কোকিলের মতো কালেভদ্রে আসেন তারা নেত্রকোনায়। তবে দলে কোন্দল তৈরিতে বারো মাসই ব্যস্ত আছেন। স্বজনপ্রীতি করে অনেক ত্যাগী নেতাকে বাদ দিয়ে কমিটিতে বড় নেতাদের বাড়ি বা চেম্বারের কর্মচারীদের রাখা হয়েছে বলেও তৃণমূল নেতাদের অভিযোগ। অন্যদিকে নেত্রকোনা পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটি চলছে অজানা ক্ষমতায়। বিগত ৩০ বছরে এখানে কোনো কমিটি হয়নি। নেত্রকোনা সদর, বারহাট্টা ও পূর্বধলা চলছে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি দিয়ে। একই অবস্থা সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনে। নেত্রকোনায় বিএনপি অনেকটা অভিভাবকহীন। ত্যাগী নেতা-কর্মীরা মাঠে নেই। প্রকাশ্যে বিএনপির কোনো কর্মসূচি হয় না বললেই চলে। যেগুলো হয় সেগুলোতেও ৩০-৩৫ জনের বেশি জমায়েত হয় না। হামলা-মামলার কথা বলে দায় সারেন নেতারা। বিএনপির বর্ষীয়ান নেতাদের সঙ্গে নতুন আহ্বায়ক কমিটির নেতাদের রয়েছে বিভক্তি। তারা কোনোরকমের পরামর্শ ছাড়াই নব্যদের নিয়েই কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। তার ওপর রয়েছে ঢাকায় বসবাসকারী নেতাদের হস্তক্ষেপ। সহযোগী অঙ্গসংগঠনের বেশির ভাগের নামে রয়েছে মাদকের মামলা। কেউ কেউ মাদক নিয়ে ধরাও পড়েছেন বিভিন্ন সময়ে।

সর্বশেষ খবর