জেলার বিভিন্ন আমবাজারগুলোতে আজ আম বেচাকেনা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। জেলার বৃহৎ আমবাজার কানসাটের আম বাজার উদ্বোধন করবেন স্থানীয় জাতীয় সংসদ সদস্য ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল। এরপর থেকেই বাজারটিতে আম বেচাকেনা শুরু হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সংশ্লিষ্টরা। অন্যদিকে একইদিন ভোলাহাট ও রহনপুরে আমবাজার উদ্বোধন করা হবে। তবে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, বাজারগুলোতে আম আসবে আরও এক সপ্তাহ পর। কারণ এখনো জেলার আমে পরিপক্বতা আসেনি। যদিও এবার প্রশাসন আম বাজারে নামানোর সময় নির্ধারণ করে দেয়নি। কারণ এই জেলার আম পাকে প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে। তাই এবার প্রাকৃতিকভাবে পাকা আমের মিষ্টি সুগন্ধে ভরে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে আমবাজারগুলো। তবে এ বছর করোনা পরিস্থিতিতে বেচাকেনা জমবে কিনা তা নিয়ে ব্যবসায়ী ও বিক্রেতারা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। আম সঠিকভাবে বাজারজাত করতে না পারলে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন আমচাষি ও ব্যবসায়ীরা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর জেলায় আমবাগানের পরিমাণ ৩৩ হাজার ৩৫ হেক্টর। গত বছর ছিল ৩১ হাজার ৮২০ হেক্টর এবং গাছের সংখ্যা প্রায় ২৫ লাখ ৩৯ হাজার ৬৩০। বর্তমানে জেলার আমবাগানগুলোতে গোপালভোগ ও ক্ষিরসাপাতসহ বিভিন্ন গুটিজাতের আম বড় হয়ে প্রায় পরিপক্বতা পেয়েছে। আশা করা হচ্ছে এর এক সপ্তাহের মধ্যে মধু মাস জ্যৈষ্ঠে বাজারে উঠতে শুরু করবে পাকা আম। ইতিমধ্যে জেলার সদরঘাট ও তহাবাজার, ভোলাহাট, শিবগঞ্জ ও কানসাট আম বাজার এবং রহনপুর বাজারের মোকামগুলো প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে। এ অঞ্চলের মানুষ প্রধান অর্থকরী ফসল আমকে ঘিরেই জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। কিন্তু এবার করোনা আর ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে এ অঞ্চলের মানুষের মুখে যেন হাসি মলিন হয়ে গেছে। আমবাগান মালিক হারুনুর রশিদ জানান, মৌসুমের শুরু থেকেই কয়েকবার আমবাগানের হাতবদল হয়ে থাকে। কিন্তু এবার করোনার প্রভাবে বাগানের ক্রেতা একেবারে নেই। আমগাছে পর্যাপ্ত গুটি আসার পাশাপাশি আমের ফলন ভালো হয়েছিল। এরই মাঝে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের ফলে ব্যাপক আম পড়েছে। তারপরও যে পরিমাণ আম রয়েছে তা বিক্রি ভালো হলে আমচাষি, বাগান মালিক ব্যবসায়ীদের মধ্যে আশার সঞ্চার জোগাবে। এদিকে জেলা শহরের আম ব্যবসায়ী সুকুমার প্রামাণিক, আবদুর রাকিব ও কাইউম বিশ্বাস জানান, চলতি মৌসুমে পর্যাপ্ত আমের ফলন হলেও বাজার নিয়ে শঙ্কিত রয়েছেন তারা। কারণ মৌসুমজুড়ে লেনদেন হয়ে থাকে কয়েক হাজার কোটি টাকার। কিন্তু করোনার কারণে আমেরবাজার নিয়ে ব্যবসায়ীদের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে। রাজধানী ঢাকা ও বাণিজ্যনগরী চট্টগ্রামসহ অন্যান্য জেলা থেকে আমের ব্যাপারিরা এসে থাকে। এবার তারা আসবে কিনা তা নিয়ে ভাবনার অন্ত নেই। এ ছাড়া পরিবহন ব্যবস্থা ও আম সঠিকভাবে বাজারজাত করতে না পারলে পুঁজি হারানোর ভয় তাদের তাড়া করছে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক এ জেড এম নূরুল হক বলেছেন, জেলার আম বাজারজাত করণে সর্বাত্মক সহায়তা করা হবে। পাশাপাশি কেউ যদি আমে কেমিক্যাল মেশানোর চেষ্টা করে তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শিরোনাম
- বেনজীর-ইমরানসহ ১০৩ জনের বিরুদ্ধে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ
- টানা ১০ ম্যাচ জয়হীন থাকায় চাকরি হারালেন উলভস কোচ
- বিএনপির বিজয় ঠেকাতে অপপ্রচার-অপকৌশল দৃশ্যমান : তারেক রহমান
- অক্টোবরে এলো ৩১ হাজার ২১০ কোটি টাকার প্রবাসী আয়
- ডিগ্রী পাস ১ম বর্ষ পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় বৃদ্ধি
- ডেঙ্গুতে একদিনে ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১১৬২
- একটি গোষ্ঠী নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র করছে : দুলু
- সুশাসন চাইলে সৎ ও যোগ্য লোকের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে : মাসুদ সাঈদী
- ১৭ বছরে ছাত্রদল প্রকৃত রাজনীতি করতে পারেনি: এ্যানি
- সিলেট সীমান্তে বিএসএফ’র অনুপ্রবেশ, স্থানীয়দের প্রতিরোধ
- মহাসড়কে বাইক প্রতিযোগিতা, প্রাণ গেল তরুণের
- পুঁজিবাজারে বেড়েছে লেনদেন
- সাতক্ষীরায় পচা মাংস বিক্রির অভিযোগে ব্যবসায়ীকে দুই মাসের কারাদণ্ড
- প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে মানববন্ধন
- রূপগঞ্জে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আনন্দ শোভাযাত্রা
- জয়পুরহাটে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পাশে বিএনপি নেতা
- রং মেশানো ডাল আমদানি ও বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা
- গাজীপুরে রনি হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার
- সিলেটের শ্রমিক নেতাদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে বরিশালে বিক্ষোভ
- খিলগাঁওয়ে খাল থেকে মরদেহ উদ্ধার