শুক্রবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২০ ০০:০০ টা

আওয়ামী লীগই মাঠে ছিল

-সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি

আওয়ামী লীগই মাঠে ছিল

মুন্সীগঞ্জ-২ আসনের এমপি অধ্যাপিকা সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি বলেছেন, মুন্সীগঞ্জে করোনা দুর্যোগ মোকাবিলায় একমাত্র আওয়ামী লীগই জনগণের পাশে ছিল। অন্য কোনো দলকে মাঠে দেখিনি। বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ বন্যা, নদী ভাঙন বা কোনো প্রকার দুর্যোগে দেশের কোথাও যেন কোনো মানুষ এক বিন্দু কষ্ট না পায়। সেই নির্দেশকে অনুসরণ করেই আমরা কাজ করছি। মুন্সীগঞ্জে করোনা সংক্রমণ ও পদ্মার ভাঙনে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বা হচ্ছে তাদের পাশে সরকার আছে, থাকবে। তারা কেউ না খেয়ে থাকবে না বা কেউ কোনো কষ্ট পাবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য ও দক্ষ নেতৃত্বে এবং উনার নির্দেশে আমি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ মো. মহিউদ্দিন এবং এমপি মৃণাল কান্তি দাশসহ মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ, উপজেলা আওয়ামী লীগ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এবং সব সহযোগী সংগঠনের নেতারা সুপরিকল্পিতভাবে টিমওয়ার্ক করে কাজ করছি। অধ্যাপিকা সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি বলেন, এ জেলার বেশিরভাগ লোকই ঢাকায় ক্ষুদ্র, মাঝারি এবং বৃহৎ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। লকডাউনের সময়ে অর্থনৈতিক কার্যক্রম তারা ঠিকমতো চালাতে পারে নাই এবং তাদের অনেকেই কাজ হারিয়েছে। একই সময়ে দেখা দেয় দীর্ঘস্থায়ী বন্যা ও নদী ভাঙন। আমার নির্বাচনী এলাকা লৌহজং- টংগিবাড়ী উপজেলাসহ জেলার প্রতিটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে পর্যাপ্ত পরিমাণ খাদ্য, অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী এবং নগদ অর্থ পৌঁছে দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে খাদ্যসামগ্রী, মিড মিল, নগদ অর্থ ও গৃহ মেরামতের জন্য ঢেউটিন দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসা সেবায় জনগণ যেন কষ্ট না পায় সে জন্য মহামারীর সময়ে আমার নির্বাচনী এলাকাসহ মুন্সীগঞ্জ জেলার ছয়টি উপজেলায় ৭০টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভায় সুষ্ঠুভাবে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া সহায়তা দুর্গত মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শুধু করোনাকালেই জেলাবাসীর জন্য তিন হাজার মে. টন চাল, নগদ এক কোটি পঞ্চাশ লাখ টাকা, প্রচুর পরিমাণ শিশুখাদ্য, গো-খাদ্য, শুকনা খাবার, ৩০০ বান্ডেল ঢেউটিন ও এর সঙ্গে নগদ তিন হাজার টাকা করে মোট নয় লাখ টাকা দিয়েছেন। এখানে প্রতিটি উপজেলায় প্রতিটি ইউনিয়ন, প্রতিটি ওয়ার্ড এর পরিবার হিসাব করে চাল এর সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের খাদ্যসামগ্রী ও নগদ অর্থ এ বছরের মার্চ থেকে একটানা দেওয়া হয়েছে।

আল্লাহর অশেষ রহমতে মুন্সীগঞ্জ জেলার কোনো দরিদ্র পরিবারকেই খাবার কষ্টে ভুগতে হয়নি। কোনো কোনো জায়গায় দুধও রোজ করে দেওয়া হয়েছে শিশুদের জন্য। আমি সবাইকে সঙ্গে নিয়ে প্রায় প্রতিনিয়তই আমার এলাকাবাসীর পাশে থেকে তাদের সচেতনতা বৃদ্ধি ও যথাযথ চিকিৎসা এবং খাদ্য নিশ্চয়তার ব্যবস্থা করি। তিনি আরও বলেন, বন্যার সময় আমার এলাকায় সাতটি বিদ্যালয়কে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলি, এখানে টানা দেড় মাস রান্না করা খাবার পরিবেশন করা হয় দুর্গতদের জন্য। এ ছাড়াও আমি ব্যক্তিগত উদ্যোগে নির্বাচনী এলাকার দুই উপজেলায় মা-বোনদের মাঝে প্রচুর শাড়ি বিতরণ করি। এ ছাড়াও মুন্সীগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আলহাজ মো. মহিউদ্দিন জেলা পরিষদের মাধ্যমে দুর্যোগকালে ছয়টি উপজেলায় বিভিন্ন ইউনিয়নে দুর্গত মানুষের মাঝে চাল, নগদ অর্থসহ বিভিন্ন সহায়তা দিয়েছেন। আমাদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও মেম্বারগণ সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেছেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর