দিনাজপুরের বিখ্যাত সামন্ত রাজার অমর কীর্তি রামসাগর যা সৌন্দর্যমন্ডিত ঐতিহাসিক এক দিঘি। প্রাকৃতিক নয়নাভিরাম দিঘিটি পর্যটকদের ভালোলাগার পরশে মনকে ছুঁয়ে যায়। পর্যটকদের বেশি দৃষ্টি কাড়ে রামসাগরের মিনি চিড়িয়াখানার মায়াবী চিত্রাহরিণগুলো। আর শীত ও করোনার সময়ে এই আট চিত্রাহরিণের সংসারে এসেছে আট নতুন অতিথি। নতুন অতিথি শাবকদের নিয়ে রোদের আলোয় বসে থাকে মা হরিণগুলো। এ দৃশ্য দর্শনার্থীদের দৃষ্টি কাড়ছে। বাদাম বা খাওয়ার কিছু নিয়ে ডাকলে অনেক চিত্রা ব্যারিকেড ঝালির কাছে ছুটে আসছে। তবে কেউ শব্দ করলে তারা পালিয়েও যাচ্ছে। আবদুর রহিম, আসাদুজ্জামান লিটনসহ কয়েকজন দর্শনার্থী জানান, রামসাগরের জলরাশি জেলা প্রশাসন ও বাকি অংশ বন বিভাগ দেখভাল করে। ফলে সেবার মান আজও বাড়েনি। অথচ বন বিভাগকে জলরাশিসহ পুরোটাই দিলে এখানে ঝুলন্ত সেতু, বিভিন্ন রাইডসহ পর্যটকদের আকর্ষণীয় করতে নানা পদক্ষেপ নিতে পারে। আর এসব আধুনিকায়ন করা গেলে এটিই হতে পারে উত্তরাঞ্চলের পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয়, দর্শনীয় স্থান। পাশাপাশি সরকারের রাজস্বও বাড়বে। চিত্রাহরিণের প্রিয় খাবার শাপলাপাতা। রামসাগর দিঘিতে শাপলা চাষ করতে পারলে হরিণের খাদ্যের চাহিদা কিছুটা মেটানো যেত বলে জানান হরিণগুলোর তদারককারী জহুরুল ইসলাম। কিন্তু দিঘিতে মাছ শিকার, ইঞ্জিন নৌকা চালানোর কারণে শাপলা চাষ বন্ধ হয়ে যায়। রামসাগর জাতীয় উদ্যানের তত্ত্বাবধায়ক ও বনবিট কর্মকর্তা সাদেকুর রহমান জানান, জাতীয় উদ্যানের মিনি চিড়িয়াখানায় সরকারিভাবে ছয়টি চিত্রাহরিণ আনা হয়। বংশ বিস্তারের পর এখন এর সংখ্যা ৫৪। ডিসেম্বর ও চলতি জানুয়ারিতে বিভিন্ন সময়ে আটটি মা হরিণের সংসারে আটটি নতুন অতিথি এসেছে। বাচ্চাসহ এখন এখানে হরিণ ৬২। হরিণের সংখ্যা বেড়েছে। এতে খাদ্যের চাহিদাও বেড়েছে। এখন চিত্রাহরিণের খাদ্যের জন্য সঠিক সময়ে খাদ্য বাজেট পর্যাপ্ত পাওয়া যায়। হরিণগুলোকে ছোলা, চক্কর, লতাপাতা ইত্যাদি খাবার দেওয়া হয়।