শনিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা
মাদারীপুরে জিয়াবুল হত্যা মামলা

অপহরণের পাঁচ দিন পর স্বামী-স্ত্রীর গলিত লাশ মিলল খালে

মাদারীপুর প্রতিনিধি

মাদারীপুরে জিয়াবুল হত্যা মামলার সাক্ষী মোয়াজ্জেম সরদার (৫৫) ও তার স্ত্রী মাকসুদা বেগমের (৫০) গলিত লাশ পাওয়া গেছে কালকিনি উপজেলার আলিনগর ইউনিয়নের রাজারচর এলাকার একটি শুকনো খালে। গতকাল দুপুরে পুলিশ এ লাশ উদ্ধার করেছে। এর পাঁচ দিন আগে তাদের অপহরণ করা হয়েছিল। তাদের বাড়ি একই ইউনিয়নের পার্শ্ববর্তী কোলচরি স্বস্তাল এলাকায়। লাশ উদ্ধারের পর থেকে জিয়াবুল হত্যা মামলার আসামিরা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। পুলিশ বলছে, তিন-চার দিন আগে এই দম্পতিকে হত্যা করে লাশ খালে ফেলে রাখে অপহরণকারীরা। উদ্ধার হওয়া লাশ দুটির বিভিন্ন অংশ পচে গলে গেছে। জানা গেছে, প্রায় এক বছর আগে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রাজারচর এলাকায় জিয়াবুল মোল্লা নামে এক যুবক খুন হন। এ হত্যা মামলায় আসামি করা হয় একই এলাকার বজলু ব্যাপারী, হাবি ব্যাপারীসহ ব্যাপারী বাড়ির অনেককেই। মামলায় মোয়াজ্জেম, তার স্ত্রী মাকসুদা বেগম ও তাদের সৌদি প্রবাসী ছেলে সাঈদ সরদার ছিলেন গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী। সাক্ষী হওয়া নিয়ে বজলু ব্যাপারীর সঙ্গে মোয়াজ্জেমের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। নিহত মোয়াজ্জেমের মেয়ে সাদিয়া আক্তার বলেন, ‘আমার মা-বাবাকে ভাড়াটে লোক দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমার মা ও একমাত্র ভাই হত্যা মামলার সাক্ষী ছিলেন। কৃষিকাজ করানোর জন্য দুজন শ্রমিক ভাড়া করে এনেছিলেন বাবা। আমার মা-বাবা নিখোঁজ হওয়ার রাতেই আশরাফ নামে এক শ্রমিক পালিয়ে যায়। আমরা ধারণা করছি আমাদের শত্রুরা আশরাফকে সঙ্গে নিয়ে আমার মা-বাবাকে হত্যা করেছে। আমি হত্যার বিচার চাই, হতাকারীদের ফাঁসি চাই। মামলার বাদী মোয়াজ্জেমের জামাতা মো. ইমরান সরদার বলেন, ‘অপহরণের নাটক সাজিয়ে এটি পরিকল্পিত একটি হত্যাকান্ড। আমরা পুলিশের কাছে সব খুলে বলেছি। আশা করব পুলিশ অপরাধীদের খুঁজে বের করে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করবে।’ কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইশতিয়াক আশফাক বলেন, ‘লাশ ৩-৪ দিন আগে থেকেই খালে পড়ে ছিল। লাশের বেশির ভাগই পচে গলে গেছে। তাই তাদের কীভাবে মারা হয়েছে সেটি বোঝা যাচ্ছে না। তবে লাশ দুটির হাত-পা গামছা দিয়ে বাঁধা ছিল। আমরা ধারণা করছি, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর