শুক্রবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

এক বছর নিঃসঙ্গ উটপাখিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

এক বছর নিঃসঙ্গ উটপাখিটি

এক বছর থেকে সঙ্গী হারিয়ে নিঃসঙ্গ রয়েছে উটপাখিটি। রংপুর চিড়িয়াখানার একটি খাঁচায় অধিকাংশ সময়ই কাটছে বিষণ্ণভাবে পাখিটির। সঙ্গী ছাড়া বংশ বিস্তারও সম্ভব হচ্ছে না। অনেকেই মনে করছেন, উটপাখিটির বংশ বিস্তারের জন্য খুব দ্রুত একটি পুরুষ সঙ্গী আনা প্রয়োজন। রংপুর চিড়িয়াখানা সূত্রে জানা গেছে, আড়াই বছর আগে ঢাকা চিড়িয়াখানা থেকে ৬ মাস বয়সী দুটি উটপাখি আনা হয়। দেড় বছর এক সঙ্গে থাকার পর পুরুষ সঙ্গীটি ১ বছর আগে মারা যায়। তখন থেকেই বিষণ্ণ মনে খাঁচায় একা একা দিন কাটছে পাখিটির। সম্প্রতি ডিম দিলেও পুরুষ সঙ্গী না থাকায় বাচ্চা ফুটেনি। জানা গেছে, মূলত সাহারা মরুভূমির দক্ষিণের তৃণভূমি উটপাখির মূল বিচরণস্থল। বিশ্বের অনেকস্থানে উটপাখি পালন একটি লাভজনক ব্যবসা। বিশ্ববাজারে এর চামড়া, মাংস, পালক ইত্যাদির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এই পাখি পোকা-মাকড় খায়। উড়তে না পারলেও ৭০ কিলোমিটার বেগে দৌঁড়াতে পারে। অঞ্চলভেদে প্রজননে ভিন্নতা রয়েছে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে একটি পুরুষ দুই থেকে সাতটি স্ত্রী উটপাখির সঙ্গে থাকে এবং বংশ বিস্তার করে। উটপাখির গড় উচ্চতা প্রায় তিন মিটার। দেহের ওজন ১৫০ কেজিরও বেশি হতে পারে। এদের আছে বিশাল দুটি পাখা। পুরোটা মেলে ধরলে এর দৈর্ঘ্য হয় প্রায় ৭ ফুট। পুরুষ উটপাখির পাখার রং কালো হয় এবং সঙ্গে থাকে সাদা লেজ। স্ত্রী উটপাখির পাখার রং ধূসর বাদামি। উটপাখির ৫০ থেকে ৭০ বছর উৎপাদনক্ষম থাকে। রংপুর চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর আম্বার আলী জানান, পাখিটি ডিম দিয়েছিল। কিন্তু পুরুষ সঙ্গী না থাকায় ডিমগুলো ফুটেনি। তিনি বলেন, ঢাকা চিড়িয়াখানার একটি পুরুষ উটপাখির জন্য চাহিদা দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর