সোমবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

চলন্ত ট্রেনে ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে ডাকাতি

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

‘ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে তারা চলন্ত ট্রেনে ছিনতাই করত। সুযোগ পেলে ডাকাতিও করত। মূলত তারা পেশাদার ছিনতাইকারী। এজন্য সব সময় তারা চলন্ত ট্রেনকেই বেছে নিত।’ ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা জামালপুরগামী কমিউটার ট্রেনে ডাকাতি ও দুই খুনের ঘটনায় মূলহোতা আশরাফুল ইসলাম (২৬) সহ পাঁচজনকে গ্রেফতারের পর এমনটিই জানিয়েছে র‌্যাব-১৪।

গ্রেফতারকৃত অন্যরা হলো- মাকসুদুল  হক রিশাদ (২৮), মো. হাসান (২২), রুবেল মিয়া (৩১) ও মোহাম্মদ (২৫)। শনিবার রাতে ময়মনসিংহ নগরীসহ বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গতকাল দুপুরে র‌্যাব-১৪ এর সদর দফতরে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন অধিনায়ক ও উইং কমান্ডার রোকনুজ্জামান। সংবাদ সম্মেলনে উইং কমান্ডার রোকনুজ্জামান আরও জানান, ট্রেনে ডাকাতির ঘটনার মূলহোতা আশরাফুল আলম স্বাধীনকে শনিবার রাতে ময়মনসিংহ নগরীর শিকারীকান্দা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি অনুযায়ী অন্যদের গ্রেফতার করা হয়। র‌্যাব আরও জানায়, গত বৃহস্পতিবার ডাকাত দল ডাকাতির উদ্দেশ্যে কমলাপুর স্টেশন থেকে জামালপুরগামী কমিউটার ট্রেনে ওঠে। পরে বিমানবন্দর, টঙ্গী, গফরগাঁও স্টেশন থেকে আরও কয়েকজন সহযোগী তাদের দলে যোগ দেয়। গফরগাঁও স্টেশন পার হওয়ার পর ডাকাত সদস্যরা ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে ট্রেনের ছাদে ছিনতাই ও ডাকাতি শুরু করে। এ সময় ট্রেনের যাত্রী সাগর ও নাহিদ তাদের বাধা দেয়। পরে ডাকাত দল তাদের এলোপাতারি ছুরিকাঘাত করে মালামাল লুট করে। এরা মূলত সংঘবদ্ধ একটি চক্র।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা জামালপুরগামী কমিউটার ট্রেনের ছাদে যাত্রীদের ওপর ডাকাত দল হানা দেয় এবং যাত্রীদের সঙ্গে থাকা নগদ অর্থ, মোবাইলসহ জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়। এ সময় কয়েকজন যাত্রী বাধা দিলে তাদের এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। এতে দুজন নিহত ও একজন আহত হয়। জামালপুর স্টেশনে ট্রেনটি থামার পর বিষয়টি জানাজানি হয়। পরে শুক্রবার রাতে ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানায় নিহত সাগরের মা হনুফা খাতুন মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত আট/দশজনকে আসামি করা হয়েছে।

সর্বশেষ খবর