একই জমিতে সাথী ফসল হিসেবে আদা খেতে করলা ও শিম চাষ করে ব্যাপক লাভবান কৃষক সিরাজুুল ইসলাম। কম সময়ে একই জমিতে তিনটি ফসলের চাষ করে সবার কাছে অনুকরণীয় হয়েছেন তিনি।
সফল চাষী দিনাজপুরের বীরগঞ্জের সিরাজুল ইসলাম বলেন, তার পাঁচ বিঘা জমিতে গত ১৫ বৈশাখ দেশি জাতের আদা লাগান ৫২ হাজার টাকার। কিছুদিন পর আদার গাছ বড় হলে মাটির নিচের পচা আদা (মথা) বিক্রি করে ৬৫ হাজার টাকা আয় করেন। তার আশা, আদা মাটির নিচ থেকে তুলে বাজারে বিক্রি করে কয়েক লাখ টাকা মুনাফা করবেন। আদা এমন একটি ফসল যা রোদও চায়, ছায়াও চায়। আর এই দুটিই পাওয়া যায় করলা আর শিম গাছ থেকে। যার কারণে এই তিনটি ফসল একসঙ্গে যে পরিমাণ লাভ বা মুনাফা আসে তা অন্য কোনো ফসল থেকে আসে না। মজার বিষয় হচ্ছে দুটি ফসলের খরচ দিয়ে তিনটি ফসল চাষ করা যায়। তিনি বলেন, জৈষ্ঠ মাসে করলা লাগালে আশ্বিন মাসে করলা শেষ হয়ে যায়। করলা চাষে ৩০ হাজার টাকা মুনাফা হয়। এরপর সেই জমির করলার জাঙ্গিতেই শিম চাষ করি।
এতে শিম চাষে তেমন খরচ লাগেনি। মাত্র ১৬ হাজার টাকা খরচ হয় শিম চাষে। আর এ পর্যন্ত ৩৫ হাজার টাকার শিম বিক্রি করেছেন। বর্তমানে প্রতি সপ্তাহে ১৫-২০ মণ শিম বিক্রি করছেন। তিনি বলেন, বারী-১৪ জাতের শিম চাষ করেছি, কারণ এসব জাতের শিম ফলন বেশি আর পোকার আক্রমণ কম হয়। বাজারে খুচরা বিক্রেতা ও খদ্দেরদের কাছে কদরও বেশি। তাই আনুমানিক আরও ৫০ হাজার টাকার শিম বিক্রি করতে পারব। এ ব্যাপারে বীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার আবু রেজা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, করলা কিংবা শিম চাষের সাথী ফসল হিসেবে হলুদ এবং আদা চাষ লাভজনক। কারণ হলুদ এবং আদা চাষে ছায়ার প্রয়োজন হয়। যা করলা অথবা শিম চাষে পূরণ করা যায়। তাই করলা এবং শিম চাষের পাশাপাশি সাথী ফসল হিসেবে আদা এবং হলুদ চাষে কৃষকদের পরামর্শ এবং সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করে যাচ্ছি।